প্রকৃতি মা আমাদেরকে যতগুলি অসাধারণ ও বহু-উপকারী ফলের উপহার দিয়েছেন আমলকি তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ফল। ভারতেই আমলকির জন্ম এবং এখানে শীতকালে প্রচুর পরিমানে আমলকি উৎপন্ন হয়। ভারতে জন্ম বলে আমলকির আর এক নাম Indian gooseberry. তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। ভারতে আমলকি গাছকে পবিত্র গাছ হিসাবে গন্য করা হয়।
আমলকি মূলত Vitamin C এর উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একটি মাঝারি আকৃতির আমলকিতে দুইটি কমলালেবুর সমান Vitamin C পাওয়া যায়। এছাড়া আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকি একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। আমলকির উপকারী গুন অনেক থাকায় এটি আয়ুর্বেদের একটি অমূল্য নাম।
আমলকি খাদ্যের শোষণে সাহায্য করে, পাকথলির এসিড সমতা বজায় রাখে। মূত্রনালির বিভিন্ন রোগে এটি ব্যবহৃত হয়। উচ্চরক্ত চাপ, সুগার নিয়ন্ত্রণে এটি খুবই উপকারী একটি ফল। সাধারণ সর্দি কাশি তে বা ফুসফুসের অন্যান্য রোগে এটি খুব উপকারী। ত্বকের প্রাকৃতিক সুন্দরতা বজায় রাখতে এর কোন জুড়ি নেই। এছাড়া চুলের নানান সমস্যা সমাধানে এটি খুব উপকারী।
1. অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ:
আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে Vitamin C এবং Antioxidant যা আমাদের দেহের কোষে পুষ্টি জুগিয়ে কোষগুলোর পুনর্গঠনে সাহায্য করে। দেহ কোষগুলি থেকে toxin পদার্থ বের করে দিয়ে কোষগুলিকে নবজীবন প্রদান করে। এইভাবে আমলকি আমাদের দেহকোষ গুলির পুনর্গঠনে সাহায্য করে আমাদের যৌবন ধরে রাখে।
তাই আমি বলবো যাঁরা অকাল বার্ধক্যের কবলে পড়েছেন বা ভাবছেন বয়সের তুলনায় মনে হচ্ছে অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে, তারা নিয়মিত আমলকি খান।
2. চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি:
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকি খুবই উপকারী। Antioxidant থাকার জন্য আমলকি চোখের রেটিনায় কোনো রকম চাপ প্রদান করতে দেয় না, ফলে আমাদের চোখ চাপ থেকে সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া আমলকি চোখের ছানি(Cataract) প্রতিরোধে খুব উপকারী।
কয়েকটি আমলকির টুকরো কয়েক ঘন্টা জলে ভিজিয়ে সেই জল দিয়ে চোখে ঝাপটা দিলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
3. মজবুত হাড় গঠন:
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার জন্য এটি আমাদের দেহের হাড় মজবুত করে। তাই নিয়মিত আমলকি খেলে আমাদের দেহের হাড় শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
4. দেহের ওজন হ্রাস:
মোটা হয়ে যাওয়া বা দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া বর্তমান সমাজের একটি বড় সমস্যা। আমরা দেহের ওজন কমানোর জন্য কি না করি, কত না ওষুধ খাই। কিন্তু আমরা হয়তো জানি না যে আমলকি প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখে। আমলকি দেহের Metabolism ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহ থেকে ফ্যাট বের করে দেয়। ফলে দেহের ওজন স্বাভাবিক থাকে। তাই আমাদের দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত আমলকি খেতে হবে।
5. হার্টের অসুখ প্রতিরোধ:
রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা শুরু হয়। আমলকি আমাদের দেহে খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে দিয়ে আমাদের হার্টের সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত আমলকি খেলে তা রক্তনালীর ভিতরের প্রাচীর পুরু হতে দেয় না, ফলে আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
6. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ:
আমলকি ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুবই উপকারী একটা ফল। আমলকি কোষের Isolated group কে উজ্জীবিত করে ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে। আমলকিতে আছে antioxidant যা রক্তের গ্লুকোজ লেবেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং আলবুমিন মাত্রা কমিয়ে দেয়।
আমলকির রস এবং হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
7. হজম শক্তি বৃদ্ধি:
আমলকিতে আছে উচ্চমানের ফাইবার যা আমাদের পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। আমলকি টক স্বাদ যুক্ত হওয়ায় ইহা পাকথলির হজমকারী এনজাইম গুলোকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে আমাদের হজম শক্তি বেড়ে যায়।
আমলকিতে ফাইবার বেশি থাকায় তা আমাদের পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগছেন তারা নিয়মিত আমলকি খান।
এক গ্লাস দুধের সাথে আমলকি রস মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে হজম শক্তি ঠিক থাকে।
8. দাঁতের রোগ প্রতিরোধ:
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে Vitamin C থাকায় তা দাঁতের স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁতের যন্ত্রণা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
1. অকাল পক্কতা প্রতিরোধ:
আমলকিতে আছে antioxidant যা চুলের রঞ্জক পদার্থ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করে ফলে আমাদের চুল অকালে পেকে যায় না।
কাঁচা আমলকি পেস্ট করে বা আমলকি পাউডার চুলে লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া নিয়মিত আমলকি সমৃদ্ধ হেয়ার অয়েল ব্যাবহার করলে একই উপকার হয়।
2. চুল পড়া রোধ:
আমলকিতে antioxidant এবং vitamin C থাকায় আমাদের চুল অকালে পরে যায় না। নিয়মিত কাঁচা আমলকি খাওয়া বা আমলা হেয়ার অয়েল ব্যাবহার চুলের অকাল পরে যাওয়া রোধ করে।
1. মুখের ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধ:
আমলকির মধ্যে রক্ত পরিস্কার করার ক্ষমতা আছে। তাই আমলকির রস, পাউডার বা কাঁচা আমলকি খেলে তা আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে ব্রণ বা ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করে।
তাছাড়া আমলকি পাউডার এবং হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে ব্রণ ভালো হয়।
2. ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা:
আমলকিতে আছে antioxidant এবং প্রচুর পরিমাণে Vitamin C যা আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। নিয়মিত আমলকি খেলে আমাদের ত্বক কুঁচকে যায় না, ত্বকের glamour বজায় থাকে। ফলে দীর্ঘ যৌবন লাভ করা যায়।
আমলকি মূলত Vitamin C এর উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একটি মাঝারি আকৃতির আমলকিতে দুইটি কমলালেবুর সমান Vitamin C পাওয়া যায়। এছাড়া আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকি একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। আমলকির উপকারী গুন অনেক থাকায় এটি আয়ুর্বেদের একটি অমূল্য নাম।
আমলকি খাদ্যের শোষণে সাহায্য করে, পাকথলির এসিড সমতা বজায় রাখে। মূত্রনালির বিভিন্ন রোগে এটি ব্যবহৃত হয়। উচ্চরক্ত চাপ, সুগার নিয়ন্ত্রণে এটি খুবই উপকারী একটি ফল। সাধারণ সর্দি কাশি তে বা ফুসফুসের অন্যান্য রোগে এটি খুব উপকারী। ত্বকের প্রাকৃতিক সুন্দরতা বজায় রাখতে এর কোন জুড়ি নেই। এছাড়া চুলের নানান সমস্যা সমাধানে এটি খুব উপকারী।
আমলকির কিছু অসাধারণ উপকারী দিক (Some useful benefits of Amla):
1. অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ:
আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে Vitamin C এবং Antioxidant যা আমাদের দেহের কোষে পুষ্টি জুগিয়ে কোষগুলোর পুনর্গঠনে সাহায্য করে। দেহ কোষগুলি থেকে toxin পদার্থ বের করে দিয়ে কোষগুলিকে নবজীবন প্রদান করে। এইভাবে আমলকি আমাদের দেহকোষ গুলির পুনর্গঠনে সাহায্য করে আমাদের যৌবন ধরে রাখে।
তাই আমি বলবো যাঁরা অকাল বার্ধক্যের কবলে পড়েছেন বা ভাবছেন বয়সের তুলনায় মনে হচ্ছে অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে, তারা নিয়মিত আমলকি খান।
2. চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি:
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকি খুবই উপকারী। Antioxidant থাকার জন্য আমলকি চোখের রেটিনায় কোনো রকম চাপ প্রদান করতে দেয় না, ফলে আমাদের চোখ চাপ থেকে সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া আমলকি চোখের ছানি(Cataract) প্রতিরোধে খুব উপকারী।
কয়েকটি আমলকির টুকরো কয়েক ঘন্টা জলে ভিজিয়ে সেই জল দিয়ে চোখে ঝাপটা দিলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
3. মজবুত হাড় গঠন:
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার জন্য এটি আমাদের দেহের হাড় মজবুত করে। তাই নিয়মিত আমলকি খেলে আমাদের দেহের হাড় শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
4. দেহের ওজন হ্রাস:
মোটা হয়ে যাওয়া বা দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া বর্তমান সমাজের একটি বড় সমস্যা। আমরা দেহের ওজন কমানোর জন্য কি না করি, কত না ওষুধ খাই। কিন্তু আমরা হয়তো জানি না যে আমলকি প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখে। আমলকি দেহের Metabolism ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহ থেকে ফ্যাট বের করে দেয়। ফলে দেহের ওজন স্বাভাবিক থাকে। তাই আমাদের দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত আমলকি খেতে হবে।
5. হার্টের অসুখ প্রতিরোধ:
রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা শুরু হয়। আমলকি আমাদের দেহে খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে দিয়ে আমাদের হার্টের সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত আমলকি খেলে তা রক্তনালীর ভিতরের প্রাচীর পুরু হতে দেয় না, ফলে আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
6. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ:
আমলকি ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুবই উপকারী একটা ফল। আমলকি কোষের Isolated group কে উজ্জীবিত করে ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে। আমলকিতে আছে antioxidant যা রক্তের গ্লুকোজ লেবেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং আলবুমিন মাত্রা কমিয়ে দেয়।
আমলকির রস এবং হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
7. হজম শক্তি বৃদ্ধি:
আমলকিতে আছে উচ্চমানের ফাইবার যা আমাদের পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। আমলকি টক স্বাদ যুক্ত হওয়ায় ইহা পাকথলির হজমকারী এনজাইম গুলোকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে আমাদের হজম শক্তি বেড়ে যায়।
আমলকিতে ফাইবার বেশি থাকায় তা আমাদের পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগছেন তারা নিয়মিত আমলকি খান।
এক গ্লাস দুধের সাথে আমলকি রস মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে হজম শক্তি ঠিক থাকে।
8. দাঁতের রোগ প্রতিরোধ:
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে Vitamin C থাকায় তা দাঁতের স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁতের যন্ত্রণা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
চুলের যত্নে আমলকি (Amla as hair care):
1. অকাল পক্কতা প্রতিরোধ:
আমলকিতে আছে antioxidant যা চুলের রঞ্জক পদার্থ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করে ফলে আমাদের চুল অকালে পেকে যায় না।
কাঁচা আমলকি পেস্ট করে বা আমলকি পাউডার চুলে লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া নিয়মিত আমলকি সমৃদ্ধ হেয়ার অয়েল ব্যাবহার করলে একই উপকার হয়।
2. চুল পড়া রোধ:
আমলকিতে antioxidant এবং vitamin C থাকায় আমাদের চুল অকালে পরে যায় না। নিয়মিত কাঁচা আমলকি খাওয়া বা আমলা হেয়ার অয়েল ব্যাবহার চুলের অকাল পরে যাওয়া রোধ করে।
ত্বকের যত্নে আমলকি (Amla as skin care):
1. মুখের ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধ:
আমলকির মধ্যে রক্ত পরিস্কার করার ক্ষমতা আছে। তাই আমলকির রস, পাউডার বা কাঁচা আমলকি খেলে তা আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে ব্রণ বা ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করে।
তাছাড়া আমলকি পাউডার এবং হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে ব্রণ ভালো হয়।
2. ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা:
আমলকিতে আছে antioxidant এবং প্রচুর পরিমাণে Vitamin C যা আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। নিয়মিত আমলকি খেলে আমাদের ত্বক কুঁচকে যায় না, ত্বকের glamour বজায় থাকে। ফলে দীর্ঘ যৌবন লাভ করা যায়।