রিঙ্কেল দূর করার 5 টি টিপস 5 health tips to get ride of Wrinkles

রিঙ্কেল(Wrinkle) আমাদের ত্বকের বিশেষ করে মুখের ত্বকের একটি দারুন সমস্যা। আসলে আমরা দেখি অনেকের মুখের ত্বক বয়সের তুলনায় কুঁচকে যায় বা ত্বকে ভাঁজ পড়ে যায়। এরফলে তাকে অনেকটা বয়স্ক দেখতে লাগে। এটাকেই রিঙ্কেল(wrinkle) বলে।

রিঙ্কেল পড়ে যাওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। সেটা তার দৈহিক কারণ বা লাইফ স্টাইল কারণেও হতে পারে। লাইফ স্টাইল কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হল - অতিরিক্ত ধূমপান(smoking), মদ্যপান(drinking), ফাস্টফুড বা অতিরিক্ত তেল বা ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ, ঘুমের অভাব বা রাত জাগা(insomnia), অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন(mental stress) ইত্যাদি ইত্যাদি।




রিঙ্কেলের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা অনেকেই বাজার চলতি পপুলার কিছু কোম্পানির প্রোডাক্ট, ক্রিম বা অন্যান্য কিছু জিনিস ব্যবহার করি। অনেকেই হয়তো উপকার পান, আবার অনেকেই ব্যর্থ হন। অনেকেই আবার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই মেডিসিন গ্রহণ করেন। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। এগুলি একদমই করবেন না।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, "Prevention is better than cure" অর্থাৎ কোন রোগ শুরু হওয়ার আগেই তাকে যদি প্রতিরোধ করা যায় তবে তার থেকে ভালো কিছু আর হয়না। এই আর্টিকেলে 5 টি হেল্থ টিপস নিয়ে আলোচনা করা হবে, যেগুলি মেনে চললে আপনি সহজেই রিঙ্কেলের হাত বেঁচে যাবেন।


রিঙ্কেল দূর করার 5 টি টিপস (5 health tips to get ride of Wrinkles):


1. চিনি কম খান:

বেশি চিনি খাওয়ার ফলে দেহে যে কি কি মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। আর যাদের সুগার বা ডায়াবেটিস আছে তারা তো ভালোভাবেই বুঝতে পারবেন।

আমাদের দেহে চিনির মাত্রা বেশি হয়ে গেলে দেহে গ্লিকাশন(glication) নামক একটি প্রসেস শুরু হয়ে যায় এবং যার ফলস্বরূপ AGEs নামক একটি ক্ষতিকারক পদার্থ উৎপন্ন হয়। এই AGEs আমাদের ত্বকের দারুন ক্ষতি করে। এটি আমাদের দেহের কোলাজেন(collagen) ভেঙ্গে দেয়। ফলে আমাদের দেহের গঠন ভাঙ্গতে থাকে এবং কম বয়সেই বুড়ো - বুড়ি হয়ে যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেকিং সোডা মিশ্রিত খাবার, তেল বা চর্বি জাতীয় ভাজাভুজি খাবার ইত্যাদি আমাদের দেহের কোলাজেন গুলোকে ভেঙ্গে দেয়। তাই এইসব খাবার যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।

2. ধূমপান বা মদ্যপান এড়িয়ে চলুন:

ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো আমরা ছোট থেকেই শুনে আসছি। ধূমপান করলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয় তা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো এটা জানি না যে, ধূমপান কিন্তু আমাদের যৌবন কেড়ে নিতে পারে। অর্থাৎ সরল ভাবে বলতে গেলে অতিরিক্ত ধূমপান ত্বকের রিঙ্কেলের একটি অন্যতম কারণ।

একইভাবে মদ্যপান বা এলকোহল আমাদের শরীরের দারুন ক্ষতি করে। এলকোহল(alcohol) আমাদের লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। যারফলে শরীরে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। দেহের কোলাজেন ভেঙ্গে যেতে থাকে, ত্বকে রিঙ্কেল পড়ে যায়।




3. এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার:

এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের বা ত্বকের কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে। অর্থাৎ কোষে খাবারের যোগান দেয় এবং মৃত কোষগুলিকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। যারফলে আমাদের ত্বক নতুন রূপে সেজে ওঠে।

এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার যেমন - আঙুর, আপেল, আমলকি, পেয়ারা, বেরিফল, কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো, গাজর ইত্যাদি বেশি করে আমাদের খাওয়া উচিত। এগুলি নিয়মিত খেলে ত্বকের রিঙ্কেল দূরে থাকে এবং ত্বক চিরতরুণ থাকে।

4. মুখ পরিষ্কার রাখা:

আপনারা হয়তো অনেকেই দিনে বা রাতে বাইরে বেরোনোর আগে মেকআপ ব্যবহার করেন। মেকআপে অনেক ক্ষতিকর কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যেগুলো আমাদের ত্বকের দারুন ক্ষতি করে। বাড়িতে চলে আসার পর ভালো কোন ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। এতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ত্বকের বাড়তি ক্ষতি করতে পারে না এবং ত্বকে রিঙ্কেলও আসে না।

5. পর্যাপ্ত ঘুম:

প্রায় সকল রোগের মূল কারণ হল অনিদ্রা অর্থাৎ ঠিক মত ঘুম না হওয়া। আমাদের প্রতিদিনের কাজের চাপ, মানসিক চাপ ইত্যাদি ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দেয়। যারফলে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ।

বৈজ্ঞানিক মতে, আমাদের প্রতিদিন 7 - 8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত যেটা আমরা বেশিরভাগ মানুষই করি না। ঘুমের সময় দেহে রক্তচলাচল বেড়ে যায়, কোষে কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে রিঙ্কেল পড়ে না। ত্বক থাকে উজ্জ্বল, কোমল, তরুণ।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর 16 টি টিপস 16 useful tips for Glowing skin in Bengali

সুন্দর ত্বক কে না চায়? ত্বকের সৌন্দর্য(Glowing skin) বাড়ানোর জন্য আমরা কতকিছু না করি। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কত বিউটি প্রডাক্ট, কত ঘরোয়া টোটকা বা আরও যা যা থাকে সব কিছু একবার চেষ্টা করে দেখি। কারণ আমরা সবাই নিজের ত্বককে বেশি ভালবাসি। আমরা সবাই চায়, সবাই যেন আমার দিকে তাকাক। আমি যেন সবার নজর কাড়ি।

আমরা চটজলদি সাময়িকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস ব্যবহার করি। কিন্তু স্থায়ীভাবে ত্বক সুস্থ রাখতে বা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার ও ব্যায়ামই একমাত্র উপায়। পাশাপাশি শরীর ও মনকে স্ট্রেসমুক্ত রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও ব্যালান্স ডায়েট আমাদের ত্বক, এমনকি শরীর ও মনকে সুস্থ ও নীরোগ রাখে।



ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতা নেওয়া অবশ্যই দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অতিরিক্ত রোদ বা সূর্যালোকে বেরোলে অনেকসময় সান বার্ন বা ত্বকে লাল বা কালচে ছোপ দেখা যায়। তাই রোদে বেরোলে হালকা সুতির জামা, শাড়ি পড়ুন। ছাতা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা একান্ত দরকার।

তবে হালকা রোদে ছাতা বা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার না করাই ভালো। ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যালোক বা বিকেলের সূর্যের আলো আমাদের অবশ্যই নেওয়া উচিত। এতে আমাদের ত্বকে ভিটামিন D এর সংশ্লেষ হয়, যা আমাদের ত্বক ও হাড়ের পক্ষে খুবই উপকারী।


ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর 16 টি ঘরোয়া টিপস (16 Home made tips for Glowing skin):


1. জল:

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল আমাদের ত্বক তথা সমগ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সতেজ রাখে। মেটাবলিজম থেকে উৎপন্ন অপকারী টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দেয়। যারফলে আমাদের শরীর নীরোগ থাকে।
আমাদের প্রতিদিন 2.5 - 3 লিটার জল পান করা উচিত।

2. শসা:

শসাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। শসার পেস্ট বা রস ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে ও ত্বক সতেজ থাকে। যাদের oily skin তারা ত্বকে শসা ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে ভালো কাজ দেয়।

3. টম্যাটো:

টম্যাটো কাঁচা খাওয়া যেমন উপকারী তেমনই রান্না করে খাওয়াও উপকারী। প্রতিদিন টম্যাটো খেলে আমাদের ত্বক খুব ভালো থাকে। এতে উপস্থিত লাইকোপিন ব্রণ, কালচে ছোপ বা সান বার্ন এর হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির(UV Rays) ক্ষতিকর প্রভাব নষ্ট করে দেয়। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিকলস প্রশমিত করে। টমেটোর রস বা পেস্ট মধুর সঙ্গে মিশিয়ে হালকাভাবে ত্বকে ম্যাসেজ করে 15 - 20 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক সতেজ থাকে ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।

4. পাতিলেবু:

লেবুতে থাকে ভিটামিন C যা আমাদের ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত করে ও সতেজ রাখে। পাতিলেবু হল প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। লেবুর রস জলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো ছোপ দাগ দূর হয়। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড, তাই জলের সাথে এটি ব্যবহার করা উচিত।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর রসে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে ভালো কাজ দেয়। ত্বকে ব্রন বা ক্ষত থাকলে লেবুর রস ব্যবহার করা উচিত নয়। 1 চামচ লেবুর রস, 2 চামচ গ্লিসারিন ও 3 চামচ গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে এবং ত্বক সতেজ থাকে। এই প্যাক শুষ্ক ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।

5. চন্দন:

ত্বকের ব্রণ, কালো ছোপ, পোড়া দাগ, ফোস্কা, রোদে পোড়ার দাগ কমাতে চন্দনের পেস্ট বা তেল দারুন উপকারী। চন্দন তেল তুলোয় লাগিয়ে ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, ক্ষত কমায়, ঘামাচি ও দুর্গন্ধ দূর করে। ত্বকের জরা নাশ করে। চন্দন পাউডার ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

6. হলুদ:

ত্বকের জেল্লা ও সৌন্দর্য বাড়াতে, জীবাণু নাশ করতে, ক্ষত সারাতে হলুদের ঘরোয়া চিকিৎসা অতুলনীয়। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট কারকুমিন শরীরের টক্সিন গুলোকে দূর করে দেয়। দিনে 1 - 3 গ্রাম হলুদ পাউডার জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।

হলুদ, চন্দন, গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে পাউডার করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা ও হলুদের পেস্ট করে সারা ত্বকে মেখে স্নান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ত্বকের ঘামাচি ও দুর্গন্ধও নাশ হয়।

7. আমন্ড:

5 - 6 টি আমন্ড সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে চিবিয়ে খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। ভেজানো আমন্ড গুলিকে ভালো করে পেস্ট করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে, বলিরেখা কমে যায়।

8. দই বা ঘোল:

ঘরে পাতানো দই বা ঘোলে প্রচুর পরিমাণে প্রো-বায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা অটুট রাখে, ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখে। টক দই এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক নরম ও সতেজ থাকে ও সৌন্দর্য বাড়ে।

9. ডিমের প্যাক:

একটি ফাটিয়ে বাটিতে নিয়ে তার সাথে ল্যাভেন্ডার তেল বা টি অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুদিন ব্যবহার করার পর আপনার ত্বক সুন্দর ও সতেজ হয়ে উঠবে।

10. তেলের বডি ম্যাসাজ:

আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলে নিম পাতা ও তুলসী পাতার পেস্ট ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণকে হালকা গরম করে বডি ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজের পর কমপক্ষে 30 মিনিট বিশ্রাম নিয়ে স্নান করুন। আপনার ত্বকে রক্তচলাচল বেড়ে যাবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

11. ফলের প্যাক:

একটুকরো পাকা পেঁপে, আধখানা শসা ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সঙ্গে 2 চামচ মিল্ক ক্রীম মিশিয়ে মুখে বা ত্বকের অন্যান্য জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে 20 মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। দেখবেন আপনার ত্বক ধীরে ধীরে সুন্দর হয়ে উঠবে।



12. এলোভেরা:

প্রতিদিন সকালে 1 - 2 চামচ এলোভেরা জেল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। আপনার ত্বক শুষ্ক হলে এলোভেরা জেল বা রস লাগিয়ে 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।

13. আলুর পেস্ট:

আপনার ত্বক যদি খুব ওয়েলি হয় তাহলে কাঁচা আলু বেঁটে পেস্ট করে নিয়ে ত্বকে লাগান। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। ত্বকের ছিদ্র থেকে তৈলাক্ত জিনিস, ময়লা ইত্যাদি দূর করে আপনার ত্বককে নীরোগ রাখে।

14. আপেল:

প্রতিদিন আধখানা আপেল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত আলফা হাইড্রক্সি এসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আপেল দুধের সাথে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এর সাথে দু এক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক নরম ও সুন্দর হয়ে উঠবে।

15. কমলালেবু:

কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C যা আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে দারুন উপকারী। তাই আমাদের প্রতিদিন একটা করে কমলালেবু খাওয়া উচিত।

কমলালেবুর রস করে নিয়ে তা তুলো দিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। তাছাড়া কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে এরসাথে গোলাপের পাপড়ি ও মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে 30 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক নরম হয়ে যাবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

16. মুলতানি মাটি:

এটি প্রাকৃতিক খনিজে সমৃদ্ধ মাটি যা ওয়েলি স্কিনের জন্য খুব উপকারী। এই মাটি ত্বকের অতিরিক্ত অয়েল দূর করে ব্রণ বা পিম্পলস ভালো করে। এই মাটিতে বিভিন্ন খনিজ যেমন লাইম, আলুমিনা, আয়রন অক্সাইড থাকে যা ত্বককে পরিস্কার রাখে।

পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় How to get ride of Cracked Heel in Bengali?

কথায় বলে, "দাঁত দেখে খেতে মন যায় আর পা দেখে চলতে মন যায়"। জানি না কথাটা কতটা সত্যি। তবে এটা তো সত্যি যে ফাটা পা, মানে ফাটা গোড়ালি আমরা কেউই পছন্দ করি না। বিশেষ করে মহিলাদের কথাই বলা হচ্ছে। কারণ পা ফাটা নিয়ে মহিলারাই বেশি ভুগে থাকেন।


পা যেন মহিলাদের আরেকটা মূল্যবান জিনিস। সেই পা যদি ফেটে যেতে থাকে তাহলে তো বিরাট ঝামেলা। বাইরে বেরোলে লোকে মুখ তাকাতাকি করবে। আর আপনিই বা কত পা ঢেকে রাস্তা চলবেন। না, আপনাকে আর পা ঢেকে রাস্তা চলতে হবে না। কিভাবে বাড়িতে বসেই পা ফাটা, মানে গোড়ালি ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন তা নিয়ে কিছু টিপস আপনাকে দিই।

পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় (Get ride of cracked heel in Bengali)


1. নিম পাতা

ফাঙ্গাল আক্রমণে যদি পা ফাটে তবে নিম পাতার মত কার্যকরী উপাদান আর হয় না।
10 - 12 টি নিম পাতা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেগুলো ভালো করে বেঁটে পেস্ট করে নিন। এর সাথে 3 চামচ গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে ভালো করে পেস্টটি তৈরি করুন।

এখন নিম হলুদের পেস্টটি ফাটা জায়গায় পুরু করে লাগিয়ে নিন এবং 30 মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম জলে পা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে 2 থেকে 3 দিন করুন। আপনার পা ফাটা ভালো হয়ে যাবে।

2. গোলাপ জল ও গ্লিসারিন

গ্লিসারিন আমরা জানি স্কিনকে নরম ও  কোমল রাখে।আর গোলাপজলে আছে ভিটামিন A, B3, D ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পায়ের ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং পায়ের ত্বককে healthy ও glowing করে তোলে।

কি কি লাগবে

2 চামচ গোলাপজল ও 2 চামচ গ্লিসারিন।

কিভাবে করবেন

রাতে শুতে যাবার আগে  এই দুটো উপকরনের মিশ্রণ তৈরি করুন। হালকা হাতে ফাটা জায়গায় লাগিয়ে  একটু ম্যাসাজ করে নিন। তারপর শুয়ে পড়ুন। পরেরদিন সকালে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে 3 দিন করুন।

3. গরম লবণ জল

আধ বালতি গরম জলে 3 টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এরমধ্যে 15 থেকে 20 মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা জলে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।

এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।
সপ্তাহে 2 দিন অন্তত করুন।

4. পাতিলেবু

পা ফাটা বা গোড়ালি ফাটায় পাতিলেবুর রস দারুন উপকারী।

কি কি লাগবে

4 থেকে 5 ফোঁটা লেবুর রস, ১চামচ ভেসলিন ও একটু গরম জল।

কিভাবে ব্যবহার করবেন

প্রথমে কিছুটা গরম জল নিয়ে তাতে 15 থেকে 20 মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর 1 চামচ মত ভেসলিন নিয়ে, তাতে 5 ফোঁটা লেবুর রস দিন। জল থেকে পা তুলে এই মিশ্রণটা গোড়ালিতে লাগান এবং যেখানে যেখানে ফেটে গেছে সেখানেও লাগান।

এরপর এটা লাগিয়ে উলের মোজা পরে সারারাত রাখুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটা রোজই করতে পারেন পা নরম রাখার জন্য। এরসাথে পা ফাটাও ভালো হয়ে যাবে।

5. Vitamin - E  ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেমন রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করা হয় তেমনি এটা পা ফাটা নিরাময় করতেও দারুন কার্যকরী।

কি লাগবে

3 থেকে 4 টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

কিভাবে করবেন

ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুলো একটি ব্লেড দিয়ে চিরে ভিতরের তেল অংশ বের করে একটি বাটিতে রাখুন। এরসাথে একটু নারকেল তেল মিশিয়ে নিন।

এবার এই মিশ্রণটি পায়ের ফাটা জায়গা গুলোতে লাগিয়ে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুদিন করুন। পা ভালো থাকবে।

6. অলিভ অয়েল

পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে আরেকটি খুব উপকারী উপাদান হল অলিভ অয়েল।

কি লাগবে

1 চামচ অলিভ অয়েল

কিভাবে করবেন

অলিভ অয়েল পা ফাটার জায়গা সহ গোটা পায়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। তারপর পায়ে পাতলা সুতির মোজা পরে নিন। 1 ঘণ্টা পর পা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করুন।

7. পাকা কলা ও মধু

পাকা কলায় আছে বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল ও ভিটামিনস যা পা ফাটায় দারুন কাজ করে। এছাড়া মধু পা নরম ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

কি কি লাগবে

1 পিস পাকা কলা ও পরিমাণমত মধু।

কিভাবে করবেন

একটি বাটিতে পাকা কলাটি ছাড়িয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর ওই পেস্ট পায়ের ফাটা জায়গা গুলোতে ভালো করে লাগান। 1 ঘন্টা রেখে দিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে 1 দিন করলেই হবে। দেখবেন পা ফাটাও ভালো হয়ে গেছে এবং পা আগের থেকে অনেক নরম ও সুন্দর হয়েছে।

### আপনাদের কাছে একটি Request, এই পেজে যেসব Ad দেখছেন তাদের মধ্যে যেকোনো একটি Ad এ একবার click করুন প্লিজ! কারণ এই ওয়েবসাইট থেকে যা Income হয় তার পুরোটাই অনাথ শিশুদের দান করা হয়। আপনার একটি click একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে।

মুখের ব্রণ কিভাবে দূর করবেন? How to get ride of Acne in Bengali?

ব্রণ (Acne) হল আধুনিক সময়ের ছেলে বা মেয়েদের কাছে একটি আতঙ্কের বিষয়। এগুলি মূলত Teenage, Adolescent বা কখন কখন প্রাপ্ত বয়স্ক (Adult) দের মধ্যে দেখা যায়।


ব্রণ (Acne) মূলত আমাদের মুখমন্ডল (Face), গলায়, ঘাড়ে, পিঠে প্রভূতি জায়গায় বেশি হতে দেখা যায়। তবে আমাদের মুখমন্ডলে এটি হলে তা খুবই বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশ্লীল দাগ সৃষ্টি করে যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপনে নানা রকম অসুবিধার সৃষ্টি করে।

আমাদের ত্বকের উপরিভাগে অনেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্র গুলি দিয়ে আমাদের ত্বকে থাকা ঘর্মগ্রন্থি (Sebacious gland) থেকে অনবরত তৈল বা sebum বেরিয়ে আসে।

এখন যদি কোন কারণে এই ছিদ্র গুলির মুখ বন্ধ হয়ে যায় তবে ভিতরের sebum বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে আমাদের ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ির মত সমস্যার সৃষ্টি হয়। মুখের ব্রণতে যদি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ (Bacterial infections) ঘটে তাহলে সেই জায়গাগুলিতে বিশ্রী রকমের দাগের সৃষ্টি হয় যা দেখতে খুবই খারাপ লাগে।


ব্রণ হওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। দেহে হরমোনের বৈষম্য (Hormonal imbalance), পুষ্টির অভাব (Malnutrition), কেমিক্যালজাত বিউটি ক্রিম, সানস্ক্রিন ব্যবহার ইত্যাদি ব্রণ সৃষ্টির একটা বড় কারণ।
এছাড়া দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস রোগে ভুগলে, বাচ্চা প্রসবের পর (After pregnancy or delivery) ইত্যাদির জন্যও ব্রন হতে পারে।

দেহে ব্রণের সৃষ্টি হলে তা সহজে ভালো হতে চাই না। তাই ব্রন যাতে না হয় সেই দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ব্রণের হাত থেকে কীভাবে রেহাই পাবেন তা নিচেই আলোচনা করা হল।


ব্রণ সমস্যা কিভাবে দূর করবেন? (How to get ride from Acne problems?):


যোগব্যায়াম (Exercise):

আমাদের বর্তমান অলস জীবনযাপন রোগ  সৃষ্টির একটি মূল কারণ। প্রতিদিন যদি 30 মিনিট হাঁটাচলা করা হয় বা সাধারণ যোগব্যায়াম করা হয় তবে তা শরীরের পক্ষে বা ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী।
যোগব্যায়াম করার সময় আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়। এছাড়া এরফলে আমাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ঘুম ভালো হয়। ফলে ব্রণ সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।

প্রচুর জলপান করা (Drinking water):

আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত 8 গ্লাস জলপান করা উচিত। এতে আমাদের শরীরের জলের ভারসাম্য ঠিক থাকে। এছাড়া প্রচুর জলপানের ফলে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ (Healthy foods):

পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য (Balance diet) খেলে ব্রণ সমস্যা দূরে থাকে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শর্করা (Carbohydrates), সুগার বা ফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে বেশি করে শাকসবজি বা ফল খাওয়া উচিত।

মুখ পরিষ্কার রাখা (Clean your face):

মুখে যাতে ব্রণ সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিদিন মুখমণ্ডল সাধারণ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে দুইবার ধুলেই হবে। এর বেশি না ধোয়ায় দরকার। তাতে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।


কিছু ঘরোয়া টিপস (Some useful home remedies):


মধু (Honey):

মধুতে জীবাণু ধ্বংসকারী (Antibiotics) কিছু উপাদান থাকে যেগুলি আমাদের মুখে থাকা ব্যাক্টেরিয়া গুলি ধবংস করে। ফলে ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া গুলি মারা পরে।

এক চা চামচ খাঁটি মধু নিয়ে তা সরাসরি মুখমন্ডলে লাগিয়ে রাখুন। এরপর 30 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এইরকম সপ্তাহে 3 - 4 দিন করুন। উপকার পাবেন।

পুদিনা পাতা (Mint):

আমাদের ত্বকের ছিদ্র গুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য তৈল গ্রন্থির তৈল বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে ব্রণর সৃষ্টি হয়।
পুদিনা পাতা ত্বকের ছিদ্র গুলি বন্ধ হতে দেয় না। ফলে ব্রণ হয় না।

কতগুলি পুদিনা পাতা বেঁটে সেটির সঙ্গে দই (Yogurt) মিশিয়ে সারা মুখে মাখুন। এরপর 10 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে কিছুদিন করলে ব্রণ ভালো হয়ে যায়।

এলোভেরা (Aloe vera gel):

ব্রণ ভালো করার একটি কার্যকারী এবং শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান হল এলোভেরা জেল। আলোভেরাতে anti-inflammatory এবং anti-bacterial উপাদান থাকার জন্য ইহা ব্রণ সমস্যা দূর করার জন্য খুবই উপকারী।

একটি এলোভেরা পাতা নিয়ে চুরি দিয়ে ভিতরের জেল চেঁছে নিতে হবে। তারপর সেই জেল আঙুল দিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। এইভাবে সারারাত লাগিয়ে রেখে পরেরদিন সকালে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন করলে ব্রণ উধাও হয়ে যাবে।

লেবুর রস (Lemon):

পাতিলেবুর রসে জীবাণু ধ্বংসকারী ক্ষমতা বর্তমান। ব্রণ সমস্যা দেখা দিলে একটু পাতিলেবুর রস নিয়ে তা তুলো দিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। তারপর 10 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টুথপেস্ট (Toothpaste):

আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে টুথপেস্ট আছে। এই টুথপেস্ট যে ব্রণ ভালো করতে পারে এটা হয়তো খুব কম জনেই জানে। বিশেষ করে সাদা টুথপেস্ট।

রাতের বেলায় সাদা টুথপেস্ট একটু নিয়ে তা ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। সারারাত এইভাবে লাগিয়ে রাখার পর পরের দিন সকালে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন ব্রণ কয়েকদিন পর মিলিয়ে যাবে।

তুলসী পাতা (Basil leaves):

ত্বকের infections দূর করার একটি প্রাকৃতিক উপাদান হল তুলসী পাতা।
মুখে ব্রণ বের হলে তুলসীর রস লাগাতে পারেন।

কয়েকটি তুলসী পাতা জলে ভিজিয়ে রেখে সেগুলি বেঁটে রস বের করতে হবে। তারপর সেই রস ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় সারারাত লাগিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে কয়েকদিন করতে হবে।

নিম পাতা (Neem leaves):

ব্রণ ভালো করার সর্বশেষ একটি মহামূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান হল নিম পাতা।
নিম পাতা হল antifungal, antibacterial, antiinflammatory এজেন্ট যা আমাদের ত্বকের যেকোন সমস্যা দূর করতে কার্যকারী।

কতগুলি নিম পাতা জলে ভিজিয়ে রেখে সেগুলি বেঁটে পেস্ট করে নিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। তারপর 30 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে সপ্তাহে 3 দিন করলেই ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।