সুন্দর ত্বক কে না চায়? ত্বকের সৌন্দর্য(Glowing skin) বাড়ানোর জন্য আমরা কতকিছু না করি। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কত বিউটি প্রডাক্ট, কত ঘরোয়া টোটকা বা আরও যা যা থাকে সব কিছু একবার চেষ্টা করে দেখি। কারণ আমরা সবাই নিজের ত্বককে বেশি ভালবাসি। আমরা সবাই চায়, সবাই যেন আমার দিকে তাকাক। আমি যেন সবার নজর কাড়ি।
আমরা চটজলদি সাময়িকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস ব্যবহার করি। কিন্তু স্থায়ীভাবে ত্বক সুস্থ রাখতে বা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার ও ব্যায়ামই একমাত্র উপায়। পাশাপাশি শরীর ও মনকে স্ট্রেসমুক্ত রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও ব্যালান্স ডায়েট আমাদের ত্বক, এমনকি শরীর ও মনকে সুস্থ ও নীরোগ রাখে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতা নেওয়া অবশ্যই দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অতিরিক্ত রোদ বা সূর্যালোকে বেরোলে অনেকসময় সান বার্ন বা ত্বকে লাল বা কালচে ছোপ দেখা যায়। তাই রোদে বেরোলে হালকা সুতির জামা, শাড়ি পড়ুন। ছাতা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা একান্ত দরকার।
তবে হালকা রোদে ছাতা বা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার না করাই ভালো। ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যালোক বা বিকেলের সূর্যের আলো আমাদের অবশ্যই নেওয়া উচিত। এতে আমাদের ত্বকে ভিটামিন D এর সংশ্লেষ হয়, যা আমাদের ত্বক ও হাড়ের পক্ষে খুবই উপকারী।
1. জল:
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল আমাদের ত্বক তথা সমগ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সতেজ রাখে। মেটাবলিজম থেকে উৎপন্ন অপকারী টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দেয়। যারফলে আমাদের শরীর নীরোগ থাকে।
আমাদের প্রতিদিন 2.5 - 3 লিটার জল পান করা উচিত।
2. শসা:
শসাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। শসার পেস্ট বা রস ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে ও ত্বক সতেজ থাকে। যাদের oily skin তারা ত্বকে শসা ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে ভালো কাজ দেয়।
3. টম্যাটো:
টম্যাটো কাঁচা খাওয়া যেমন উপকারী তেমনই রান্না করে খাওয়াও উপকারী। প্রতিদিন টম্যাটো খেলে আমাদের ত্বক খুব ভালো থাকে। এতে উপস্থিত লাইকোপিন ব্রণ, কালচে ছোপ বা সান বার্ন এর হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির(UV Rays) ক্ষতিকর প্রভাব নষ্ট করে দেয়। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিকলস প্রশমিত করে। টমেটোর রস বা পেস্ট মধুর সঙ্গে মিশিয়ে হালকাভাবে ত্বকে ম্যাসেজ করে 15 - 20 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক সতেজ থাকে ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।
4. পাতিলেবু:
লেবুতে থাকে ভিটামিন C যা আমাদের ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত করে ও সতেজ রাখে। পাতিলেবু হল প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। লেবুর রস জলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো ছোপ দাগ দূর হয়। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড, তাই জলের সাথে এটি ব্যবহার করা উচিত।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর রসে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে ভালো কাজ দেয়। ত্বকে ব্রন বা ক্ষত থাকলে লেবুর রস ব্যবহার করা উচিত নয়। 1 চামচ লেবুর রস, 2 চামচ গ্লিসারিন ও 3 চামচ গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে এবং ত্বক সতেজ থাকে। এই প্যাক শুষ্ক ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।
5. চন্দন:
ত্বকের ব্রণ, কালো ছোপ, পোড়া দাগ, ফোস্কা, রোদে পোড়ার দাগ কমাতে চন্দনের পেস্ট বা তেল দারুন উপকারী। চন্দন তেল তুলোয় লাগিয়ে ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, ক্ষত কমায়, ঘামাচি ও দুর্গন্ধ দূর করে। ত্বকের জরা নাশ করে। চন্দন পাউডার ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
6. হলুদ:
ত্বকের জেল্লা ও সৌন্দর্য বাড়াতে, জীবাণু নাশ করতে, ক্ষত সারাতে হলুদের ঘরোয়া চিকিৎসা অতুলনীয়। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট কারকুমিন শরীরের টক্সিন গুলোকে দূর করে দেয়। দিনে 1 - 3 গ্রাম হলুদ পাউডার জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।
হলুদ, চন্দন, গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে পাউডার করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা ও হলুদের পেস্ট করে সারা ত্বকে মেখে স্নান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ত্বকের ঘামাচি ও দুর্গন্ধও নাশ হয়।
7. আমন্ড:
5 - 6 টি আমন্ড সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে চিবিয়ে খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। ভেজানো আমন্ড গুলিকে ভালো করে পেস্ট করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে, বলিরেখা কমে যায়।
8. দই বা ঘোল:
ঘরে পাতানো দই বা ঘোলে প্রচুর পরিমাণে প্রো-বায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা অটুট রাখে, ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখে। টক দই এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক নরম ও সতেজ থাকে ও সৌন্দর্য বাড়ে।
9. ডিমের প্যাক:
একটি ফাটিয়ে বাটিতে নিয়ে তার সাথে ল্যাভেন্ডার তেল বা টি অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুদিন ব্যবহার করার পর আপনার ত্বক সুন্দর ও সতেজ হয়ে উঠবে।
10. তেলের বডি ম্যাসাজ:
আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলে নিম পাতা ও তুলসী পাতার পেস্ট ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণকে হালকা গরম করে বডি ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজের পর কমপক্ষে 30 মিনিট বিশ্রাম নিয়ে স্নান করুন। আপনার ত্বকে রক্তচলাচল বেড়ে যাবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
11. ফলের প্যাক:
একটুকরো পাকা পেঁপে, আধখানা শসা ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সঙ্গে 2 চামচ মিল্ক ক্রীম মিশিয়ে মুখে বা ত্বকের অন্যান্য জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে 20 মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। দেখবেন আপনার ত্বক ধীরে ধীরে সুন্দর হয়ে উঠবে।
12. এলোভেরা:
প্রতিদিন সকালে 1 - 2 চামচ এলোভেরা জেল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। আপনার ত্বক শুষ্ক হলে এলোভেরা জেল বা রস লাগিয়ে 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।
13. আলুর পেস্ট:
আপনার ত্বক যদি খুব ওয়েলি হয় তাহলে কাঁচা আলু বেঁটে পেস্ট করে নিয়ে ত্বকে লাগান। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। ত্বকের ছিদ্র থেকে তৈলাক্ত জিনিস, ময়লা ইত্যাদি দূর করে আপনার ত্বককে নীরোগ রাখে।
14. আপেল:
প্রতিদিন আধখানা আপেল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত আলফা হাইড্রক্সি এসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আপেল দুধের সাথে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এর সাথে দু এক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক নরম ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
15. কমলালেবু:
কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C যা আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে দারুন উপকারী। তাই আমাদের প্রতিদিন একটা করে কমলালেবু খাওয়া উচিত।
কমলালেবুর রস করে নিয়ে তা তুলো দিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। তাছাড়া কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে এরসাথে গোলাপের পাপড়ি ও মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে 30 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক নরম হয়ে যাবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
16. মুলতানি মাটি:
এটি প্রাকৃতিক খনিজে সমৃদ্ধ মাটি যা ওয়েলি স্কিনের জন্য খুব উপকারী। এই মাটি ত্বকের অতিরিক্ত অয়েল দূর করে ব্রণ বা পিম্পলস ভালো করে। এই মাটিতে বিভিন্ন খনিজ যেমন লাইম, আলুমিনা, আয়রন অক্সাইড থাকে যা ত্বককে পরিস্কার রাখে।
আমরা চটজলদি সাময়িকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস ব্যবহার করি। কিন্তু স্থায়ীভাবে ত্বক সুস্থ রাখতে বা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার ও ব্যায়ামই একমাত্র উপায়। পাশাপাশি শরীর ও মনকে স্ট্রেসমুক্ত রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও ব্যালান্স ডায়েট আমাদের ত্বক, এমনকি শরীর ও মনকে সুস্থ ও নীরোগ রাখে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতা নেওয়া অবশ্যই দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অতিরিক্ত রোদ বা সূর্যালোকে বেরোলে অনেকসময় সান বার্ন বা ত্বকে লাল বা কালচে ছোপ দেখা যায়। তাই রোদে বেরোলে হালকা সুতির জামা, শাড়ি পড়ুন। ছাতা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা একান্ত দরকার।
তবে হালকা রোদে ছাতা বা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার না করাই ভালো। ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যালোক বা বিকেলের সূর্যের আলো আমাদের অবশ্যই নেওয়া উচিত। এতে আমাদের ত্বকে ভিটামিন D এর সংশ্লেষ হয়, যা আমাদের ত্বক ও হাড়ের পক্ষে খুবই উপকারী।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর 16 টি ঘরোয়া টিপস (16 Home made tips for Glowing skin):
1. জল:
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল আমাদের ত্বক তথা সমগ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সতেজ রাখে। মেটাবলিজম থেকে উৎপন্ন অপকারী টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দেয়। যারফলে আমাদের শরীর নীরোগ থাকে।
আমাদের প্রতিদিন 2.5 - 3 লিটার জল পান করা উচিত।
2. শসা:
শসাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। শসার পেস্ট বা রস ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে ও ত্বক সতেজ থাকে। যাদের oily skin তারা ত্বকে শসা ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে ভালো কাজ দেয়।
3. টম্যাটো:
টম্যাটো কাঁচা খাওয়া যেমন উপকারী তেমনই রান্না করে খাওয়াও উপকারী। প্রতিদিন টম্যাটো খেলে আমাদের ত্বক খুব ভালো থাকে। এতে উপস্থিত লাইকোপিন ব্রণ, কালচে ছোপ বা সান বার্ন এর হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির(UV Rays) ক্ষতিকর প্রভাব নষ্ট করে দেয়। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিকলস প্রশমিত করে। টমেটোর রস বা পেস্ট মধুর সঙ্গে মিশিয়ে হালকাভাবে ত্বকে ম্যাসেজ করে 15 - 20 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক সতেজ থাকে ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।
4. পাতিলেবু:
লেবুতে থাকে ভিটামিন C যা আমাদের ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত করে ও সতেজ রাখে। পাতিলেবু হল প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। লেবুর রস জলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো ছোপ দাগ দূর হয়। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড, তাই জলের সাথে এটি ব্যবহার করা উচিত।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর রসে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে ভালো কাজ দেয়। ত্বকে ব্রন বা ক্ষত থাকলে লেবুর রস ব্যবহার করা উচিত নয়। 1 চামচ লেবুর রস, 2 চামচ গ্লিসারিন ও 3 চামচ গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে এবং ত্বক সতেজ থাকে। এই প্যাক শুষ্ক ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।
5. চন্দন:
ত্বকের ব্রণ, কালো ছোপ, পোড়া দাগ, ফোস্কা, রোদে পোড়ার দাগ কমাতে চন্দনের পেস্ট বা তেল দারুন উপকারী। চন্দন তেল তুলোয় লাগিয়ে ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, ক্ষত কমায়, ঘামাচি ও দুর্গন্ধ দূর করে। ত্বকের জরা নাশ করে। চন্দন পাউডার ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
6. হলুদ:
ত্বকের জেল্লা ও সৌন্দর্য বাড়াতে, জীবাণু নাশ করতে, ক্ষত সারাতে হলুদের ঘরোয়া চিকিৎসা অতুলনীয়। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট কারকুমিন শরীরের টক্সিন গুলোকে দূর করে দেয়। দিনে 1 - 3 গ্রাম হলুদ পাউডার জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।
হলুদ, চন্দন, গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে পাউডার করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা ও হলুদের পেস্ট করে সারা ত্বকে মেখে স্নান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ত্বকের ঘামাচি ও দুর্গন্ধও নাশ হয়।
7. আমন্ড:
5 - 6 টি আমন্ড সারা রাত জলে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে চিবিয়ে খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। ভেজানো আমন্ড গুলিকে ভালো করে পেস্ট করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে, বলিরেখা কমে যায়।
8. দই বা ঘোল:
ঘরে পাতানো দই বা ঘোলে প্রচুর পরিমাণে প্রো-বায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা অটুট রাখে, ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখে। টক দই এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক নরম ও সতেজ থাকে ও সৌন্দর্য বাড়ে।
9. ডিমের প্যাক:
একটি ফাটিয়ে বাটিতে নিয়ে তার সাথে ল্যাভেন্ডার তেল বা টি অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে 15 - 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুদিন ব্যবহার করার পর আপনার ত্বক সুন্দর ও সতেজ হয়ে উঠবে।
10. তেলের বডি ম্যাসাজ:
আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলে নিম পাতা ও তুলসী পাতার পেস্ট ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণকে হালকা গরম করে বডি ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজের পর কমপক্ষে 30 মিনিট বিশ্রাম নিয়ে স্নান করুন। আপনার ত্বকে রক্তচলাচল বেড়ে যাবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
11. ফলের প্যাক:
একটুকরো পাকা পেঁপে, আধখানা শসা ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সঙ্গে 2 চামচ মিল্ক ক্রীম মিশিয়ে মুখে বা ত্বকের অন্যান্য জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে 20 মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। দেখবেন আপনার ত্বক ধীরে ধীরে সুন্দর হয়ে উঠবে।
12. এলোভেরা:
প্রতিদিন সকালে 1 - 2 চামচ এলোভেরা জেল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। আপনার ত্বক শুষ্ক হলে এলোভেরা জেল বা রস লাগিয়ে 20 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।
13. আলুর পেস্ট:
আপনার ত্বক যদি খুব ওয়েলি হয় তাহলে কাঁচা আলু বেঁটে পেস্ট করে নিয়ে ত্বকে লাগান। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। ত্বকের ছিদ্র থেকে তৈলাক্ত জিনিস, ময়লা ইত্যাদি দূর করে আপনার ত্বককে নীরোগ রাখে।
14. আপেল:
প্রতিদিন আধখানা আপেল খাওয়া আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত আলফা হাইড্রক্সি এসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আপেল দুধের সাথে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এর সাথে দু এক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক নরম ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
15. কমলালেবু:
কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C যা আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের পক্ষে দারুন উপকারী। তাই আমাদের প্রতিদিন একটা করে কমলালেবু খাওয়া উচিত।
কমলালেবুর রস করে নিয়ে তা তুলো দিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। তাছাড়া কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে এরসাথে গোলাপের পাপড়ি ও মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে 30 মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক নরম হয়ে যাবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
16. মুলতানি মাটি:
এটি প্রাকৃতিক খনিজে সমৃদ্ধ মাটি যা ওয়েলি স্কিনের জন্য খুব উপকারী। এই মাটি ত্বকের অতিরিক্ত অয়েল দূর করে ব্রণ বা পিম্পলস ভালো করে। এই মাটিতে বিভিন্ন খনিজ যেমন লাইম, আলুমিনা, আয়রন অক্সাইড থাকে যা ত্বককে পরিস্কার রাখে।