ব্রেস্ট বড় করার প্রাকৃতিক উপায় Enlarge Your Breast Naturally



স্তন (Breast) নারী দেহের আকর্ষণীয় অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ। যা দেখে যেকোন পুরুষের মন এক চান্সে গলে যেতে পারে। সুগঠিত সুডোল স্তন যেকোন নারীর গর্বের বিষয়। সুগঠিত স্তন যেকোন নারীকে অন্য একটি পজিশনে নিয়ে যায়।

কিন্তু এই স্তন যদি সাইজে ছোট হয় তবে? স্তন ছোট হলে যেকোন নারী কনফিডেন্সের অভাবে ভুগতে পারেন। নিজের পছন্দের পোশাক পরতে পারেন না। কোন পুরুষের সামনে যেতে লজ্জা পান। সবসময় নিজেকে নিয়ে যেন আজেবাজে চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন। যার জন্য শরীরে অন্যান্য সমস্যা গুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

স্তনের সাইজ ছোট হলে যেমন কনফিডেন্স চলে যায়, তেমনি সাইজে অনেক বড় হলেও শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। স্তনের সাইজ বড় করার জন্য বেশিরভাগ নারীরা বাজারজাত নানা ম্যাসাজ ক্রীম, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন। আবার অনেকে ব্রেস্ট সার্জারিও করে থাকেন। এতে স্তনের সাইজ হয়তো বড় হয় কিন্তু পরে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে স্তনের সাইজ বড় করবেন তার কয়েকটি কার্যকরী উপায়ের কথা নীচে আলোচনা করা হচ্ছে।


স্তনের সাইজ বড় করার প্রাকৃতিক উপায় (Enlarge your breast naturally):


ব্রেস্ট ম্যাসাজ (Breast massage):

স্তন বা ব্রেস্ট বড় করার একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায় হল ব্রেস্ট ম্যাসাজ বা স্তনের ম্যাসাজ। প্রতিদিন স্নানের আগে একটু সরষের তেল গরম করে নিন। এরসাথে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি দিয়ে আপনার স্তনে ম্যাসাজ করুন। মিশ্রণটি দুই হাতে নিয়ে স্তনের তলার দিক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বোঁটার (Nipple) দিকে ম্যাসাজ করুন। এইভাবে স্তনের উপর নিচের দিক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দুই হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এই ম্যাসেজটি প্রতিদিন 10 - 20 মিনিট করুন। দেখবেন আপনার স্তন ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে।



সঠিক ব্রা ব্যবহার করুন:

ব্রেস্ট বড় করার ক্ষেত্রে ব্রা অন্যতম একটি প্রধান ভূমিকা নিয়ে থাকে। সঠিক ব্রা র অভাবে আপনার স্তনের দারুন ক্ষতি হতে পারে। মনে রাখবেন ব্রা যেন খুব বেশি ঢিলে না হয়, আবার খুব বেশি যেন টাইট না হয়। সঠিক মাপের কাপ ব্রা ব্যবহার করুন। রাত্রিতে ঘুমানোর সময় ব্রা খুলে রাখবেন। একটু হালকা টাইট পোশাক পড়ুন।


পুষ্টিকর খাবার খান:

স্তনের সাইজ ঠিক পেতে প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবার একটি বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। সাধারণত দেখা যায় যারা রোগা পাতলা তাদের স্তন এমনিতেই ছোট হয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলা, শাকসবজি, ডাল অর্থাৎ প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এতে আপনার স্বাস্থ্যও ঠিক হবে এবং স্তনের সাইজও ঠিক থাকবে। অহেতুক চিন্তাভাবনা না করাই ভালো। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তনের সাইজও বেড়ে যাবে।



নিয়মিত সেক্স করুন:

নিয়মিত সেক্স করলে ব্রেস্ট সাইজ এমনিতেই বেড়ে যায়। কারণ বেশিক্ষণ সেক্স করার সময় কিছু হরমোন ক্ষরিত হয় যা ব্রেস্ট সাইজ বাড়াতে সাহায্য করে। সেক্স করার সময় আপনার পুরুষ সঙ্গীকে বলুন দুটি স্তনকে যেন ভালোভাবে চুম্বন করে, ভালো করে দুই হাত দিয়ে টিপে টিপে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে। বেশিক্ষণ সময় ধরে স্তনের চারপাশে এবং স্তনের বোঁটায় চুম্বন করতে বলুন। এরফলে সেক্স হরমোন বেশি ক্ষরণ হবে এবং ব্রেস্ট সাইজও বেড়ে যাবে। অবশ্য এই টিপসটি শুধুমাত্র বিবাহিতদের জন্য প্রযোজ্য।



নিয়মিত ব্যায়াম করুন:

স্তন বড় করার একটি প্রাকৃতিক উপায় হল নিয়মিত শরীরচর্চা বা এক্সারসাইজ করা। এতে আপনার শরীরও ফিট থাকবে এবং স্তনও বড় হবে।

ব্যায়াম 1:

মেঝের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার দুই হাত দিয়ে ভর দিয়ে শরীরকে একটু তুলুন। দুই পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে পা দুটো তুলুন। তারপর মাথাসহ বুক কে একবার তুলুন এবং একবার মেঝেয় নামান। অনেকটা বুক ডনের মতো।
প্রতিদিন 10 টি বুক ডন দিন, দেখবেন আপনার ব্রেস্ট সাইজ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে।

ব্যায়াম 2:

ঘরের দেয়ালের সামনে সোজাভাবে দাঁড়ান। দুই হাত দিয়ে দেয়ালকে জোরে ঠেলে ধরুন। ওই অবস্থায় নিজের বুকটিকে একবার দেয়ালের গায়ে নিয়ে যান এবং আবার দেয়াল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। এইভাবে প্রতিদিন চেষ্টা করুন।

শীতকালে শরীর সুস্থ রাখার জন্য 5 টি খাবার 5 foods to eat during Winter for Good Health

গরমকাল চলে যাবার পরই শীতের আগমন শুরু হয়ে যায়। আর তারপরই যত বিপত্তি ঘটতে শুরু করে। অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি আমাদের শরীর শীতকে মানিয়ে নিতে একটু দেরি করে। যারফলে আমাদের বেশিরভাগ জনেরই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। শারীরিক সমস্যা বলতে সামান্য একটু সর্দি কাশি, জ্বর বা ত্বকের কিছু সমস্যা শুরু হয়ে যায়।


শীত এলেই আমাদের বেশিরভাগ জনেরই ঠান্ডা লেগে যায়, নাক দিয়ে সর্দি ঝরতে থাকে, কারও আবার কাশি শুরু হয়ে যায়। আর সবার ক্ষেত্রে যেটা common সেটি হল আমাদের ত্বকের শুষ্কভাব। শীতের দাপটে আমাদের মুখ, হাত, পা এমনকি ঠোঁটেরও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, মানে ফেটে চৌচির। কোল্ড ক্রীম, ভেসলিন, বডি অয়েল বা অন্যান্য যেসব শীতের উপকরণ থাকে তাদের কদর তখন বেড়ে যায়।


কি যেন একটা প্রবাদ আছে, "শরীরের নাম মহাশয়....." ইত্যাদি ইত্যাদি বাকিটা ঠিক মনে নেই। শরীরকেই বা দোষ দিয়ে কি লাভ। সে যেন বলতে চাইছে, কি রে বাবা এই তো গরম সহ্য করে এলাম, আবার শীত? শীত চলে এলেই আমরা অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। বিশেষ করে মেয়েরা। কারণ মেয়েরা ভাবে শীত তাদের রূপ জৌলুস কেড়ে নেবে। এটাও ঠিক কথা।


সামান্য শরীর খারাপ করলেই ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। আমরা এই জিনিসটা হয়তো ভুলে গেছি, "Prevention is better than cure". অর্থাৎ রোগ থেকে বাঁচার আগে রোগটা কে কিভাবে প্রতিরোধ করবো সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। আমার এই লেখায় কিভাবে শীতের হাত থেকে বেঁচে নিজের শরীর ভালো রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।




শীতকালে শরীর সুস্থ রাখার জন্য 5 টি খাবার ( 5 foods to eat during winter for good health):



1. হলুদ

হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। হলুদের পুষ্টিগুণ আমাদের কারও অজানা নয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের ইম্মুনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে দেয়। যারফলে সর্দি কাশি দূরে থাকে। এছাড়া এটা নিয়মিত খেলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয় যা শীতকালে আমাদের শরীরকে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে।

2. মিষ্টি আলু

শীতকালে মিষ্টি আলু খাওয়া দারুন উপকারী। কারণ মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন A ও পটাসিয়াম যা শীতকালে কোষ্টকাঠিন্য এর হাত থেকে আমাদেরকে রেহাই দেয়। এছাড়া ইহা আমাদের দেহের ইম্মুনিটি সিস্টেমকে বুস্ট করে অর্থাৎ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

3. খেজুর

নিয়মিত খেজুর খাওয়া দেহের পক্ষে ভালো। খেজুরে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে এবং এর পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। খেজুরে পটাসিয়াম বেশি থাকায় ইহা রক্তচাপ কমায়। খেজুর দেহে তাপ উৎপাদন করে যা শীতকালে ঠান্ডা সর্দি ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করে।

4. আদা

আদার নাম শুনলেই যেন পেটের যত গন্ডগোল, সর্দি কাশি, ঠান্ডা দূর দূর করে পালায়। শীতকালে সকাল সন্ধ্যায় আদা দিয়ে লিকার চা পান করুন। অথবা আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন। দেহ থেকে ঠান্ডা, সর্দি কাশি পালিয়ে যাবে। এছাড়া পেটের গন্ডগোলও দূর হবে।

5. শুকনো খাবার

শীতকালে আর্দ্র খাবারের চেয়ে শুকনো খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া ভালো। শুকনো খাবার শরীরে তাপ উৎপাদনে বেশি সাহায্য করে যা শীতকালে খুবই প্রয়োজন। শুকনো খাবার বলতে গমের রুটি বা পরোটা, ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা, কিছু শুকনো ফল ইত্যাদি। রাত্রিতে ভাত খাওয়ার চেয়ে শুকনো গমের রুটি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো। এর সাথে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া ভালো।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ও যোগাসন Foods & Yoga as Cholesterol control

কোলেস্টেরল কথাটা আজ আর কারও অজানা নয়। স্ট্রোক ও হার্ট এট্যাক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ, ডায়াবেটিস, গলস্টোন, এনজাইনা, পানক্রিয়াটাইটিস, মিক্সিডিম, সৌন্দর্যহানির মূলে রয়েছে এই কোলেস্টেরল।

কোলেস্টেরল হল মোমের মত এক ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ। এটি মানুষের লিভারে তৈরি হয়। কোষের কাজ চালাতে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা কোলেস্টেরল জোগান দেয়। সেল মেমব্রেন অর্থাৎ কোষের বাইরের আবরণ তৈরি করতে কোলেস্টেরল সাহায্য করে। লিভারে বিভিন্ন বাইল তৈরির মূল উপাদান হল কোলেস্টেরল।




বিভিন্ন স্ট্রেয়োডজনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন, এন্ড্রোজেন ইত্যাদি তৈরিতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল। সূর্যালোক থেকে আমাদের ত্বকে ভিটামিন D তৈরিতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল। এছাড়া ভিটামিন A, D, E এবং K ভিটামিন গুলোর মেটাবলিজম এবং নার্ভ ফাইবারগুলোকে রক্ষা করে কোলেস্টেরল।


কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যোগাসন (Yoga as cholesterol control):


হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়মিত যোগাসন ও ডায়েট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই প্রতিদিন দাঁত মাজা, স্নান করার মত নিত্য ব্যায়াম ও যোগাসনের সঙ্গে প্রাণায়াম করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। অনেকে নড়াচড়া, লাফানো ঝাঁপানো বেশি পছন্দ করেন। যাকে ওয়ার্মিং আপ বা ডায়নামিক এক্সারসাইজ বলা হয়।




একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে দৌড়ানো, স্পট রানিং বা জগিং করা যেতে পারে। অর্থাৎ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফানো বা জাম্পিং করা। চিৎ হয়ে শুয়ে উঠে পায়ের আঙ্গুল ছোঁয়া বা শুয়ে পড়া যাকে সিট আপ বলা হয়। এছাড়া চিৎ হয়ে শুয়ে দু পা মাটি থেকে তুলে বৃত্তাকারে ঘোরানো বা লেগ সারকেলিং করা। চিৎ হয়ে শুয়ে দু পা মাটি থেকে ক্রস করে ওঠা নামা করানো, যাকে লেগ ক্রসিং বলে। চিৎ হয়ে শুয়ে দু পা মাটি থেকে এক হাত মত তুলে দু পাশে প্রসারিত করা যাকে লেগ ফ্লায়িং বলা হয়।

যোগের ওয়ার্মিং এক্সারসাইজ হিসেবে সূর্য নমস্কার খুব জনপ্রিয় এবং উপকারী। এছাড়া উড্ডিয়ান, ভস্ত্রিকা, যোগমুদ্রা, পবন মুক্তাসন, অর্ধ কুরমাসন ইত্যাদিও উপকারী। এগুলো বডি মেটাবলিজম সুনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিডনি ও আড্রিনাল গ্রন্থি ভালো রাখতে অর্ধচন্দ্রাসন, ধনুরাসন, ভূজঙ্গাসন, নৌকাসন, উষ্ঠরাসন ইত্যাদি ফলদায়ক।


কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খাদ্য (Foods as cholesterol control):


কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খাদ্য তথা পথ্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম বা যোগাসন করে তেল মশলা, ভাজাভুজি, ফাস্টফুড, ঘি, মাখন, বনস্পতি যুক্ত খাবার বেশি খেলে কোলেস্টেরল কমার চেয়ে দ্বিগুন বেড়ে যায়। বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট খাবারে সুগন্ধ আনে। মুচমুচে ভাব আনতে এবং বহুদিন পর্যন্ত খাবার সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করা হয়।

কুকিজ থেকে ফ্রোজেন পিৎজা সবেতেই ট্রান্স ফ্যাট ব্যবহার করা হয়। ট্রান্স ফ্যাট রক্তে LDL এর মাত্রা বাড়ায় এবং HDL এর মাত্রা কমায়। তাই হার্ট ডিজিজের আশঙ্কা বাড়ায়। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়া ডিমের কুসুম, মাখন, নারকেল তেল, রেডমিট, ভাজাভুজি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ফুড বা খাদ্য কম খাওয়া নিরাপদ।

সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কুমড়ো ইত্যাদি খাবারে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অলিভ অয়েল, ওয়ালনাটে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড। এগুলো হার্ট ডিজিজ, ডিমেনশিয়া, আর্থাইটিস কমাতে সাহায্য করে। স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছ প্রভৃতি সামুদ্রিক মাছ, আমন্ড, কুমড়োর বীজ, পালংশাক, সয়াবিন, ব্রকোলি ইত্যাদি উপকারী।






কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি উপকারী। মূলত উদ্ভিদজাত খাদ্য থেকে আমরা ফাইবার পেয়ে থাকি। ওটস, বিন, ছোলা, মটরশুঁটি, শসা, নরম ডাটা, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেয়ারা, লেবু, আমলকি, তরমুজ, কলা ইত্যাদিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার কোলেস্টেরল হাতের মুঠোয়।

ওজন কমানোর 5 টি হেল্থ টিপস 5 health tips to lose weight naturally in Bengali

আজকের দিনে মানুষ দেহের ওজন কমানোর দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন। ওজন কমে গেলে আমাদের দেহ মেজর কয়েকটি রোগের হাত থেকে রেহাই পাবে এমনটা অনেকেই ভেবে নিয়েছেন। কেউ হয়তো ওজন কমানোর সুফল জেনে ওজন কমাছেন, আবার কেউ কিছু না জেনেই অন্যের দেখা দেখি ওজন কমানো শুরু করে দিয়েছেন।



বন্ধুরা আপনারা কি জানেন পৃথিবীতে যতগুলো কঠিন কাজ আছে দেহের ওজন কমানো তাদের মধ্যে একটি। আপনি শুয়ে বসে, খেয়ে দেয়ে, আরাম আয়েসে জীবন কাটিয়ে দিন আপনার ওজন অটোমেটিক বেড়ে যাবে। এর জন্য আলাদা কোন জিম বা ডায়েটের প্রয়োজন নেই। কিন্তু একবার ওজন বেড়ে গেলে তা কমানো খুব কঠিন কাজ। আপনার ওজন নর্মাল করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম, নানান ডায়েট বা অন্যান্য যা যা থাকে সেগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আজ আমি 5 টি টিপসের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যেগুলো মেনে চললে আপনার ওজন আর কোনদিন বাড়বে না।


ওজন কমানোর 5 টি হেল্থ টিপস (5 health tips to lose weight naturally):


1. ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া:

খাবার খাওয়ার সময় কখনই তাড়াহুড়ো করতে নেই। খাবার ভালো করে চিবিয়ে, বেশ আরাম করে খেতে হয়। যারফলে আমাদের খাবার খুব সহজেই হজম হয় এবং বদহজম, গ্যাস অম্বল ইত্যাদি কম হয়।

খাবার কখনও পেটভরে খাবেন না। পাকস্থলীর কিছু অংশ খালি রেখে খাবার খান। এইভাবে কিছুদিন অভ্যাস করুন। দেখবেন আপনার ব্রেন অটোমেটিকভাবেই প্রতিদিন ওই পর্যন্তই খাবার শেষ করার সিগন্যাল দিয়ে দেবে। যারফলে আপনি ভরপেট খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবেন এবং আপনার দেহের জমা ফ্যাটগুলো কাজে লেগে যাবে। যার ফলস্বরূপ আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমে যাবে।

2. রাতে খাবার পর অন্যকিছু খাবেন না:

আমরা অনেকেই রাতে খাবার পর বা ডিনারের পর টিভির সামনে বা মোবাইল হাতে নিয়ে বসে পড়ি। সেইসময় হাতের কাছে যা পাই, মানে রেডিমেড কিছু ভাজাভুজি, বাদাম বা অন্যান্য ফাস্টফুডগুলি খেয়ে থাকি। এটা খুবই একটি বাজে অভ্যাস। এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।

রাতে খাবার খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়বেন না। অন্তত এক ঘন্টা পর ঘুমাতে যান। ওই এক ঘন্টা আপনি টিভি দেখে বা মোবাইল নিয়ে কাটিয়ে দিন। অন্যকিছু না খেয়ে একটু জল বা হালকা গরম দুধ খেতে পারেন।



3. কার্বোহাইড্রেট খাবার বেশি করে খান:

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার আমাদের দেহে শক্তি যোগায়। আর ফ্যাট জাতীয় খাবার গুলির মধ্যে বেশিরভাগই আমাদের দেহে সঞ্চিত হয়। যার ফলস্বরূপ দেহে ফ্যাট জমে আমাদের দৈহিক ওজন বেড়ে যায়।

কার্বোহাইড্রেট খাবারের মধ্যে গমের রুটি বা পরোটা, জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা ইত্যাদি। ময়দা না খাওয়ায় ভালো। যাদের সুগারের সমস্যা আছে তারা ভাত বা আলু, মানে মাটির তলার জিনিস একটু বিবেচনা করে গ্রহণ করুন।

4. হেলদি ড্রিঙ্ক:

দেহের ওজন কমানোর জন্য জল অপরিহার্য। প্রতিদিন পরিমাণমত জল পান করুন। চিনিযুক্ত চা, কফি বা জুস আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই আজই এগুলি ত্যাগ করুন। চিনি ছাড়া চা, কফি ইত্যাদি অভ্যাস করে ফেলুন।



5. ভালো করে ঘুমান:

আপনারা কি জানেন, আপনার শরীর সুস্থ থাকবে না খারাপ থাকবে এটা নির্ধারণ করে ঘুম? রাতে ভালো ঘুম না হওয়া মানে সারাটা দিন বাজেভাবে কাটা।

ওজন কমানোর জন্যও কিন্তু ঘুমই দায়ী। একটা ভালো ঘুম কিন্তু আপনার খিদে কমিয়ে দিতে পারে। আপনার জেগে থাকা মানেই দেহের শক্তি কমে যাওয়া এবং খিদে বেড়ে যাওয়া। আর খিদে বেড়ে গেলে আপনি বারবার খেতে থাকবেন এবং আপনার অজান্তেই ওজন বেড়ে যাবে।

মর্নিং ওয়াকের উপকারিতা Benefits of Morning Walk in Bengali

আজকের ব্যাস্ততম জীবনে আমাদের সকলের পক্ষে জিমে গিয়ে জিম করার মতো সময় হাতে নেই। যারা যাচ্ছেন তেনারা ফিট থাকছেন। আর বাকিরা অসুস্থতায় ভুগছেন। তাই যাদের হাতে সময় খুব কম তারা প্রতিদিন সকালে অন্তত 30 মিনিট মর্নিং ওয়াক (Morning walk) করতে পারেন। এরফলে আপনার শরীর ও মন দুটোই ফিট থাকবে। কাজে আসবে উৎফুল্ল মনোভাব। দিনের শেষেও আপনি থাকবেন পুরোপুরি ফিট। চলুন দেখে নেওয়া যাক মর্নিং ওয়াকের (Morning walk) কিছু উপকারী দিক।


মর্নিং ওয়াকের উপকারিতা(Benefits of Morning Walk)


ডায়াবেটিস(Diabetes):

আজকের দিনে জীবনযাত্রার ধরন এতটাই খারাপ যে, ডায়াবেটিস বয়স মানছে না। 30 বছরের যুবক বা 50 বছরের মধ্যবয়সী - আজ সবাই ডায়াবেটিসের কবলে। যাদের ইতিমধ্যে ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, তাদের রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করাই একমাত্র লক্ষ্য। রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে হাঁটাহাটির কোন বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত হাঁটাহাটি করেন তাদের ইনসুলিনের আর প্রয়োজন হচ্ছে না।

ব্লাড প্রেশার( Blood pressure):

আজকের দিনে উচ্চরক্তচাপে (Hypertension) ভুগছেন না এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গুনে কয়েকটা হয়তো পাওয়া যাবে। উচ্চরক্তচাপ কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মর্নিং ওয়াকের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন যদি নিয়মিত 30 মিনিট হাঁটা অভ্যাস করা হয়, তবে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ  আমাদের হাতের মুঠোয়।

কোলেস্টেরল(Cholesterol):

নিয়মিত 30 মিনিটের মর্নিং ওয়াক কমাতে পারে ট্রাইগ্লিসারইড - এর সমস্যা। রক্তে বেড়ে যায় HDL এর মাত্রা। ফলে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ে বাড়তি কোন চাপ থাকে না।

ওজন( Weight):

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে, শুধু আমাদের দেশে বললে ভুল হবে গোটা বিশ্বে একটা চরম সমস্যা হল শরীর মোটা হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে যাওয়া। যারফলে বেড়ে যাচ্ছে জীবনহানির মতো সমস্যা।

দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার 25% ক্ষেত্রে দায়ী হল আমাদের অলস জীবনযাপন। আর বাকি 75% ক্ষেত্রে দায়ী মাত্রারিক্ত খাদ্যগ্রহণ। যাদের খুব ওজন বেড়ে গেছে তারা রোজ নিয়মিত 40 - 45 মিনিট মর্নিং ওয়াক করুন। সেই সাথে খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর দিন। মানে বলতে চাইছি একটু মেপে বুঝে খান।


আরও পড়ুন:

  *কোলেস্টেরল বাড়লে কি করবেন?

  *পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়

হাড়( Bone):

দেহের হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করার অন্যতম উপায় হল এক্সারসাইজ। আমাদের শরীরের যে হাড়ের কাঠামো তাকে ধরে রাখে পেশীগুলি। নিয়মিত হাঁটলে সমস্ত শরীরের পেশির সচলতা বজায় থাকে। পেশির শক্তি বাড়ে। প্রতিদিন হাঁটলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ হয়। হাড় মজবুত হয়।

স্ট্রোক ও কিডনির অসুখ( Stroke & Kidney disease):

নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে কোলেস্টেরল কমে, সেই সাথে কমে যায় ট্রাইগ্লিসারইড এর মাত্রা। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারইড এর মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কা আর থাকে না। এবং সেই সাথে কিডনির সমস্যাও দূর হয়।

মানসিক অবসাদ( Depression):

শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় মর্নিং ওয়াক। আজকাল কাজের চাপের কারণে 10 জনের মধ্যে 1 জন ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন।

প্রতিদিন সকালে 30 মিনিট হাঁটলে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ বাড়ে এবং অবসাদ কাটতে শুরু করে। কাজকর্মে অনেক বেশি উৎসাহ পাওয়া যায়। সন্ধ্যাবেলাতে এনার্জির কোন ঘাটতি হয় না। মানসিক চাপ কমায়। হাঁটলে এনডোফিন হরমোনের মাত্রা বাড়ে। এই হরমোন আমাদের মুড ভালো রাখে।

ক্যান্সার( Cancer):

বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে - নিয়মিত হাঁটলে ওভারিয়ান ক্যান্সার(Ovarian cancer), ব্রেস্ট ক্যান্সার(Breast cancer), সারভাইভাল ক্যান্সার(Survaival cancer) ইত্যাদি কিছু অসুখ কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা যায়।

সন্তানসম্ভবা মহিলা( Pregnant woman):

সন্তানসম্ভবা মহিলারা নিয়মিত হাঁটলে, তাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণ স্বাভাবিক হয়। নিয়মিত হাঁটলে মিসক্যারাজ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। আরও একটা বড় ব্যাপার হল, জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়।

ফুসফুস(Lungs):

প্রতিদিন হাঁটাহাটি করলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। কারণ হাঁটাহাটি করলে ফুসফুস সহ সমগ্র দেহে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় থাকে। ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity power):

প্রতিদিন হাঁটলে ঋতু পরিবর্তনের অসুখগুলির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

চুল ও ত্বক( Hair & Skin):

নিয়মিত হাঁটাহাটি করলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে আমাদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। চুল পড়াও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। দ্রুত বয়স বেড়ে যাওয়া ও সেই সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর হয়।

ঘুম(Sleep):

যারা খুব সকালে ওঠেন, তাদের রাতে ঘুম ভালো হয়। আসলে খুব সকালবেলার আলো আমাদের শরীরে বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে আমাদের ঘুম খুব ভালো হয়। তাই খুব সকালে উঠে নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করা একান্ত জরুরী।

ওজন কমানোর সহজ উপায় How to Lose Weight easily in Bengali?

দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া বর্তমান সময়ে একটি খুবই common ব্যাপার। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই রাস্তাঘাটে দেখতে পাই কত মোটা মোটা মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকেই মধ্যবয়সী নারী পুরুষ। এবং সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় হল এই সব নারী পুরুষদের মধ্যে রয়েছে আমাদের young generation.

দেহের ওজন বেড়ে গেলে যে কি কষ্ট, সেটা একমাত্র ওজন বেড়ে যাওয়া মানুষটিই বলতে পারবে। প্রাত্যহিক জীবনে উঠতে বসতে নানা রকম কথা শুনতে হয়। বিশেষ করে বাসে, ট্রেনে বা অন্য কোন যানবাহনে যেখানে বসার জায়গা সীমিত। শুধু কথাই শুনতে হয় না, আসে নানারকম দৈহিক সমস্যা। জীবন যেন অতিষ্ঠ হয়ে, নিজের ওপর বিরক্তভাব চলে আসে।




ওজন কমানোর উপায় (How to lose weight in Bengali):


একটু চেষ্টা করলেই পাতলা শরীর থেকে মোটা শরীর পাওয়া যায়। কিন্তু মোটা থেকে পাতলা হয়ে যাওয়া এতটা সহজ ব্যাপার নয়, আবার অসম্ভব বলেও কিছু নেই। কিছু টিপস বলা হচ্ছে, এগুলি মেনে চলুন।

খাদ্যাভ্যাস ও ডায়েট:

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি পায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। বিশেষ করে চিনি এবং অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন, তখন আপনার ক্ষুধার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার শরীরে জমে থাকা চর্বি গুলো কমাতে কাজ করুন।

খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন। আপনার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার যুক্ত করুন যাতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার খাবারের তালিকায় একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার, একটি চর্বি বা ফ্যাটযুক্ত এবং সবুজ শাকসবজি রাখুন।

ফুলকপি, টমেটো, পাতাকপি, লেটুস পাতা, শসা ইত্যাদি কম কার্বনযুক্ত সবজি। আপনি কম কার্বনযুক্ত খাবার প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ খেলেও ওজন বাড়বে না

শরীরচর্চা:

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী টিপস হল নিয়মিত শরীরচর্চা। সপ্তাহে আপনাকে দুই থেকে তিনবার জিমে যেতে হবে। আপনাকে ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামগুলোও করতে হবে। যদি জিমে নতুন যাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই কষ্টকর ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে উল্টো ফল হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।


ওজন কমানোর কিছু উপকারী ড্রিঙ্ক:


ড্রিঙ্ক - 1:

উপকরণ:

একটি পাতিলেবু, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ আদার রস।

তৈরির পদ্ধতি:

এক গ্লাস গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন। এরসাথে দিন মধু ও আদার রস। একটি চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালিপেটে খেয়ে নিন অন্তত এক মাস।

এই মিশ্রণটি আপনার শরীরের ফ্যাট কমিয়ে আপনাকে স্লিম করে তোলে। এছাড়া এটি পেট পরিস্কার রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ড্রিঙ্ক - 2:

উপকরণ:

এক গ্লাস গরম জল ও গ্রীন টী(Green Tea)

তৈরির পদ্ধতি:

এক গ্লাস গরম জলের মধ্যে এক চামচ গ্রীন টি মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।

গ্রীন টি আমাদের মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে খাদ্য বস্তু সহজেই হজম হয়। ইহা দেহের ফ্যাট burn করে, যারফলে দেহের ওজন কমতে থাকে। এটি অন্তত এক মাস ধরে পান করুন।

ড্রিঙ্ক - 3:

উপকরণ:

এলোভেরা পাতা, এক চামচ মধু, এক চামচ পাতিলেবুর রস।

তৈরির পদ্ধতি:

প্রথমে একটি ছুরি দিয়ে এলোভেরা পাতা থেকে জেলী অংশটি চেঁছে একটি গ্লাসে রাখুন। এরসাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। সঙ্গে পরিমাণমত হালকা গরম জল দিয়ে একটি চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।

এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। আপনার দেহের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট গলে দেহ থেকে বেরিয়ে যাবে এবং আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। এটি খুবই কার্যকরী একটি ড্রিঙ্ক। অন্তত একমাস এটি খেয়ে যান।

ওপরে যে তিনটি ড্রিঙ্ক এর কথা বলা হল তাদের মধ্যে যেকোন একটি ড্রিঙ্ক একমাস পান করুন। আপনার দেহের ওজন অবশ্যই কমবে।