হাঁপানি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় Natural remedies for Asthma

হাঁপানি (Asthma) আমাদের শ্বাসতন্ত্রের একটি খুবই বিরক্তিকর রোগ। এটি আবার মৃত্যুহানিকারকও বটে। কারণ ইহা যেকোনো সময়ে রোগীর জীবন ছিনিয়ে নিতে পারে। হাঁপানি যে কতটা কষ্টকর রোগ এটা একমাত্র হাঁপানি রোগীই বলতে পারবেন। কেউ যদি জলে ডুবে মারা যায় তখন তার যেরকম শ্বাসকষ্ট হয়, ঠিক একইভাবে হাঁপানি রোগীদেরও জীবনহানিকর শ্বাসকষ্ট চলতে থাকে।




হাঁপানি কি বা কাকে বলে? - এই প্রশ্নের উত্তর যদি দিতে হয় তবে খুব সহজ ভাষায় এটা বলতে পারি যে, আমাদের শ্বাসনালী (Trachea) দুটি শাখায় ভাগ হয়ে দুটি ফুসফুসে (Lungs) প্রবেশ করেছে। এই শাখা আবার ফুসফুসের মধ্যে অনেক গুলি শাখায় ভাগ হয়ে যায়। এই শাখাগুলো দেখতে অনেকটা নল বা পাইপের মত যার ভিতর দিকটা ফাঁপা থাকে। এই ফাঁকা জায়গার মধ্য দিয়ে বায়ু চলাচল করে অর্থাৎ অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বিনিময় হয়। এখন হাঁপানি রোগীদের (Asthma patient) এই নল গুলো চুপসে যায় এবং যার ফলে স্বাস নিতে কষ্ট হয়, তখনই তাকে হাঁপানি বলে ধরা হয়।

হাঁপানির কারণ হিসেবে বলা যায়, এটি মূলত বংশগত রোগ। তবে আমাদের প্রতিদিনের লাইফস্টাইলও এর জন্য দায়ী। হাঁপানি ধূমপায়ীদের বেশি হতে দেখা যায়। এছাড়া ধুলো ধোঁয়ায় কাজ করা শ্রমিকদের, আমরা যারা প্রতিদিন কাজের তাগিদে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়, নিজের ইচ্ছায় ঠান্ডা লাগানো ইত্যাদির জন্যও হাঁপানি শুরু হয়।



হাঁপানি শুরু হলে কি করবেন? (How to deal with the effects of Asthma):


1. সবসময় ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ আপনার পকেটে রাখুন এবং প্রয়োজন হলে ব্যবহার করুন।

2. যেহেতু ধূমপায়ীদেরই হাঁপানি বেশি হয়, তাই আজ থেকেই বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা ইত্যাদি নেশা ছেড়ে দিন এবং এর বিকল্প কিছু ব্যবহার করুন। এর জন্য কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

3. কিছু কিছু খাবার খেলে হাঁপানি বেশি হয়। আপনি যদি হাঁপানিতে ভুগে থাকেন তাহলে নিজের দায়িত্বে সেইসব খাবারগুলো চিহ্নিত করুন এবং খাবারগুলো যতদূর সম্ভব বর্জন করুন।

4. শীতকাল, বর্ষাকাল ইত্যাদি কয়েকটি ঋতুতে হাঁপানি বেড়ে যায়। তাই ওই ঋতুগুলিতে আমাদের একটু সাবধানে থাকতে হবে। ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

5. সবসময় চেষ্টা করুন হালকা গরম খাবার খেতে বা পোশাক পরতে, যাতে আপনি নিজেকে কমফোর্ট বোধ করেন।

6. মানসিক চিন্তা ভাবনা (Mental stress) কম করুন। কারণ এটি হাঁপানির একটি কারণ।

7. ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাসন করুন। এইগুলো হাঁপানি নিরাময়ে সাহায্য করে।



হাঁপানি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় (Natural remedies for Asthma):


মনে রাখবেন, হাঁপানির কিন্তু কোন স্থায়ী চিকিৎসা (Permanent treatment) নেই। এটা ভাববেন না যে, একবার ওষুধ খেয়ে নিলাম মনে সারা জীবনের মত আমার হাঁপানি ভালো হয়ে গেল। এখানে কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা আলোচনা করা হচ্ছে। এগুলি মেনে চলুন, দেখবেন আপনার হাঁপানি অনেকটা হাতের মুঠোয়।




1. হাঁপানিতে কার্যকরী যোগাসন, প্রাণায়াম ইত্যাদি বাড়িতে প্র্যাকটিস করুন। এরজন্য কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

2. যেসব ঋতুতে হাঁপানি বাড়ে অর্থাৎ শীতকাল ও বর্ষাকালে প্রতিদিন গরম জলে স্নান করতে হবে।

3. সরষের তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে ভালো করে ওই তেল ফুটিয়ে নিতে হবে। এই তেল দিয়ে নিয়মিত বুকে মালিশ করুন এবং সারা গায়ে মেখে রোদের মধ্যে শুয়ে থাকুন।

4. এক বাটি জল, আদার টুকরো এবং কয়েকটি তুলসীর পাতা একসাথে মিশিয়ে সেই জল ফুটিয়ে নিন। এই আদা জল সকাল সন্ধ্যায় চা এর মত পান করুন।

5. ভাত, চিনি, ঠান্ডা পানীয় অর্থাৎ যেগুলো হাঁপানি বাড়িয়ে দেয় সেগুলো খাওয়া বন্ধ করুন।

6. সবশেষে বলি, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন, স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। দেখবেন আপনার কাছে হাঁপানি একটা তুচ্ছ ব্যাপার বলে মনে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের 3 টি ঘরোয়া উপায় 3 home remedies to prevent Dengue in Bengali

ডেঙ্গু বা ডেঙ্গি(Dengue) একটি মশা বাহিত রোগ। শুধু মশা বললে ভুল হবে, আসলে এটি এডিস মশার আক্রমণে ছড়ায়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই এডিস মশা একমাত্র দিনের বেলাতেই কামড়ায়। তাই এই মশার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের রাত জাগার কোন ফালতু ঝামেলা নেই। শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই আমাদের সতর্ক হতে হবে। প্রতিবছর প্রচুর মানুষ ডেঙ্গিতে মারা যাচ্ছে।



আপনার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? হ্যাঁ! আপনার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য কতগুলো লক্ষণের কথা এখানে বলা হচ্ছে। যেমন- আপনার হঠাৎ করে জ্বর এবং মাথা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। অথবা আপনার স্কিনে rash বের হতে পারে, মাংসপেশি ও জয়েন্টে প্রচন্ড যন্ত্রণা, বমিভাব বা বমিও হতে পারে। অবস্থা মারাত্মক হয়ে গেলে প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং রোগী শেষপর্যন্ত মারাও যেতে পারে।

যেহেতু এডিস মশারা দিনের বেলাতেই কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর প্রয়োজন হলে মশারি খাটিয়ে তবেই ঘুমান। অথবা মশা মারা ধূপ ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে বের হলে হাত পা ঢাকা পড়ে এই রকম পোশাক পড়ে তবেই বের হোন। মোট কথা হল ডেঙ্গু সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেউ সচেতন করতে হবে। রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হলে অতিসত্বর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


ডেঙ্গু প্রতিরোধের 3 টি ঘরোয়া উপায় (3 home remedies to prevent Dengue):


1. মেথির বীজ:

মেথির বীজে ভিটামিন C, ভিটামিন K ও অন্যান্য মিনারেলস থাকে, যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকরী। এছাড়া মেথির বীজ জ্বর কমাতেও সাহায্য করে।

উপকরণ:         
                1 - 2 চামচ মেথির বীজ, এক কাপ গরম জল ও এক চামচ মধু।

পদ্ধতি:
               প্রথমে এক কাপ গরম জলের মধ্যে দুই চামচ মেথির বীজ মিশিয়ে নিন। তারপর এটি 5 - 10 মিনিট রেখে দিন। এরপর এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় পান করুন। এই মিশ্রণটি দিনে 2 - 3 বার পান করুন।


2. দুধ ও হলুদ:

হলুদ একটি প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক মেডিসিন, যা আমাদের দেহে প্রবিষ্ট রোগ জীবাণুদের ধ্বংস করে। দেহের immunity system কে boost করে। যার ফলে আমাদের দেহ যেকোন রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

উপকরণ:
               এক চামচ হলুদ পাউডার, এক চামচ মধু ও এক গ্লাস দুধ।

পদ্ধতি:
                এক গ্লাস দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরসাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো ও এক চামচ মধু মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি হালকা গরম থাকা অবস্থায় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিন।



3. তুলসী পাতা ও গোলমরিচ:

সেই প্রাচীন কাল থেকেই মুনি ঋষিরা তুলসী পাতা বিভিন্ন রোগ জীবাণু, ইনফেকশন, সর্দি কাশি প্রভৃতির হাত থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করতেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তুলসী পাতায় বেশ কিছু দরকারি মেডিসিনাল প্রোপার্টি থাকে যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকরী। এছাড়া এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার জন্য ইহা দেহের immunity powar কে boost করে। ফলে আমাদের দেহ রোগ জীবাণুর হাত থেকে রেহাই পায়।

উপকরণ:
                10 - 12 টি তুলসী পাতা, এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো, এক গ্লাস জল ও দুই চামচ মধু।

পদ্ধতি:
               প্রথমে জল ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ওই ফুটন্ত জলে তুলসী পাতাগুলো দিয়ে দিন। এর ঠিক 2 মিনিট পর গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে জল ঠান্ডা করে নিন। এই ঠান্ডা জল থেকে তুলসী পাতাগুলো ছেঁকে নিয়ে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এই  জল দিনে দুইবার পান করুন।

ব্লাড প্রেসার কমানোর 10 টি উপায় 10 home remedies to reduce blood pressure naturally in Bengali

বর্তমানে পৃথিবীতে যতগুলো মরণব্যাধি রোগ আছে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ তাদের মধ্যে একটি। শুধু ব্লাড প্রেসার বললে ভুল হবে, কথাটা হবে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ(Hypertension or High blood pressure)। যা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করছে। প্রতি বছর 17 ই মে বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবস বা World Hypertension Day হিসাবে পালন করা হয়।




ব্লাড প্রেসার কি তা সংক্ষেপে একটু বলি। আমাদের দেহের ধমনি(Artery) গুলির মাধ্যমে রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ দেহের vital organ গুলোতে পৌঁছায়। এখন আমাদের যত বয়স হয় তত এই ধমনিগুলির ভিতরের প্রাচীর অর্থাৎ অন্তপ্রাচীরের ব্যাস কমে যেতে থাকে। ভালোভাবে বলতে গেলে ভিতরের প্রাচীরে চর্বি বা ফ্যাট জমা হতে থাকে। এর জন্য অবশ্য 90% দায়ী আমাদের লাইফ স্টাইল। ধমনীর অন্তপ্রাচীরে ফ্যাট জমা হওয়ার ফলে রক্ত আগের মত আর full speed এ প্রবাহিত হতে পারে না। ধমনি প্রাচীরে একটা চাপের সৃষ্টি হয়। ইহাকেই ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ বলে।

ব্লাড প্রেসার বাড়ার কারণ হিসাবে বলা বলা যায়, আমাদের অলস জীবনযাপন, unhealthy food, খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, মানসিক চাপ, birth control pill এবং pain killer খাওয়া, কিছু বংশগত রোগ ইত্যাদি।

ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার ফল কিন্তু মারাত্মক। ব্লাড প্রেসারকে Silent killer বলা হয়, কারণ ইহা আগাম কোন এলার্ম ছাড়াই আমাদের মৃত্যু ঘটাতে পারে। ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে heart attack, stroke, diabetes, kidney failure এবং অন্যান্য মারাত্মক সব প্রতিক্রিয়া আমাদের দেহে দেখা যায়।

ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্য আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম ড্রাগ বা ওষুধ খেয়ে থাকি যার side effect কিন্তু মারাত্মক। এই article এ 10 টি ঘরোয়া টিপসের কথা share করা হচ্ছে, আশা করা যায় এগুলি আপনাদের উপকারে আসবে।


ব্লাড প্রেসার কমানোর 10 টি ঘরোয়া উপায় (10 home remedies to reduce blood pressure naturally):


1. তরমুজের বীজ:

দুই চামচ মত তরমুজের শুকনো বীজ নিয়ে ভালো করে বেঁটে নিন। এরপর এই বেঁটে নেওয়া বীজগুলো এক মগ গরম জলে 1 ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখুন। 1 ঘন্টা পর জল ছেঁকে নিয়ে তরমুজের বীজগুলো আলাদা করে নিন। ছেঁকে নেওয়া জল দিনে 3 বার খেয়ে নিন। দেখবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লেভেল ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।




2. ডাবের জল:

ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন C থাকে, যা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি ডাবের জল খেলে পেট ভালো থাকে, পেটের যাবতীয় রোগ দূর হয়। প্রতিদিন অন্তত 4 গ্লাস ডাবের জল খান। দেখবেন ব্লাড প্রেসার কমে যাচ্ছে।

3. পাতিলেবু:

পাতিলেবু ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুন উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটু হালকা গরম জলের সঙ্গে আধখানা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন এতে কোন লবণ বা চিনি মেশাবেন না। কারণ লবন বা চিনি  ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়।




4. পালংশাক:

পালংশাক রান্না খেলে যেমন ব্লাড প্রেসার কমে যায় তেমনি পালংশাক কাঁচাও খাওয়া যায়। প্রতিদিন চা'য়ের সঙ্গে পালংশাকের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা পালংশাকের কান্ড কুটিকুটি করে কেটে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন। এতে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

5. মেথির বীজ:

একটি পাত্রে পরিমাণমত জল ও এক চামচ মেথির বীজ মিশিয়ে জল অন্ততপক্ষে 2 মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হয়ে এলে ছেঁকে মেথির বীজ আলাদা করে নিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। এইভাবে 2 মাস চালিয়ে যান। দেখবেন আপনার ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গেছে।




6. আদা ও মধু:

আদা বা মধু সাধারণ ঠান্ডা সর্দিতে যেমন উপকারী তেমনি  ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্যও দারুন কার্যকরী। একটি কাপে আদার রস ও মধু সমপরিমাণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার খান। আপনার ব্লাড প্রেসার হাই থাকলে তা কন্ট্রোলের মধ্যে চলে আসবে।

7. রসুন ও মধু:

আদার মত রসুনও ব্লাড প্রেসার কমাতে পারে। একটি বা দুটি রসুনের কোয়া খান এবং সেই সঙ্গে একটু মধুও খেয়ে নিন। এটা বিশেষ করে সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া আপনি এক গ্লাস জলে কিছুটা রসুনের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।




8. বিটের জুস:

কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে যে, প্রতিদিন যদি এক গ্লাস বিটের জুস পান করা হয় তবে ব্লাড প্রেসার নরমাল থাকে। আপনি বাড়িতে জুসার দিয়ে বিটের জুস বানিয়ে নিন এবং প্রতিদিন খেতে থাকুন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।



9. পেঁয়াজের রস:

পেঁয়াজের মধ্যে পটাসিয়াম ও ফসফরাস অধিক মাত্রায় থাকার জন্য ইহা ব্লাড প্রেসার কমাতে হেল্পফুল। জুসার মেশিন দিয়ে বা বেঁটে পেঁয়াজের রস করে নিন। একটি কাপে এই পেঁয়াজের রস ও মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খান। এইভাবে দুই সপ্তাহ খেয়ে যান। আপনার ব্লাড প্রেসার কমে যাবে।

10. পাকা কলা:

পাকা কলায় সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে কিন্তু পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকার জন্য ইহা ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুন কার্যকরী। রুটি, কেক বা অন্যান্য ফাইবার জাতীয় খাবারের সঙ্গে পাকা কলা যোগ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি মিডিয়াম সাইজের পাকা কলা খেতে পারেন।

কোলেস্টেরল বাড়লে কি করবেন? How to control High Cholesterol in Bengali?


কোলেস্টেরল কি? What is Cholesterol?

কোলেস্টেরল(Cholesterol) একধরনের চর্বি বা লিপিড(Lipid) জাতীয় পদার্থ। যেটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও বটে এবং নানাভাবে আমাদের শরীরের গঠনে ও শরীরের জন্য জরুরি স্টেরয়েড হরমোন তৈরিতে বিশেষ সাহায্য করে।



কোলেস্টেরল অনেক রকমের হয় যথা - ভালো কোলেস্টেরল, খারাপ কোলেস্টেরল ইত্যাদি। তবে কোলেস্টেরলকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। LDL, VLDL ও HDL. এর মধ্যে LDL রক্তবাহী নালীতে Asthrosclorosis তৈরি করে। অর্থাৎ রক্তবাহী নালী সরু হয়ে যায় এবং তার নমনীয়তা হ্রাস পায়। ফলে হার্ট রোগের আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে VLDL বহন করে ক্ষতিকর উপাদান ট্রাইগ্লিসারইডস। এরমধ্যে LDL কে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল এবং HDL কে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল।

রক্তে LDL, VLDL ও HDL এর স্বাভাবিক মাত্রা:

সাধারণভাবে রক্তে LDL 100mg/100ml এর নিচে থাকা ভালো। অন্যদিকে VLDL 30mg/100ml এর নিচে থাকা safe এবং HDL এর মাত্রা 150mg/100ml এর নিচে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে এই মাত্রা গুলি বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে vary করে।


কোলেস্টেরলের খারাপ দিক Bad effects of Cholesterol:

আমাদের রক্তে যে মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে তার বেশিরভাগটাই আমাদের লিভারে তৈরি হয়। সামান্য কিছুটা আসে খাবারের মাধ্যমে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

কোলেস্টেরল দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন ধমনীতে জমতে জমতে প্লাক তৈরি করে ও ধমনিগুলিকে সরু ও শক্ত করে দেয়। একসময় সেই জায়গায় রক্ত চলাচল কমে যায় বা পুরোপুরি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখনই শরীরে নানা প্রাণঘাতী সমস্যা শুরু হয়। যেমন, হার্ট এট্যাক, স্ট্রোক, angina pectoris বা বুকে ব্যথা, উচ্চরক্তচাপ, কিডনির অসুখ ইত্যাদি।

প্রথমদিকে খারাপ কোলেস্টেরল ধমনীতে জমলেও আমাদের শরীরে তেমন রোগলক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে অনেকসময় কোলেস্টেরল বাড়লে চোখের নিচের চামড়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে। যাকে Zanthoma বলে। যদিও এটা সবসময় হয় না, তবে হলে আমাদের সতর্ক হতে হবে।


কোলেস্টেরল বাড়লে কি করবেন? (How to control high Cholesterol in Bengali?)


কোলেস্টেরল আমদের দেহে লিভারে তৈরি হয় এবং কিছু কিছু খাদ্য যেমন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, শর্করা জাতীয় খাদ্য, অতিরিক্ত মদ্যপান, ফাস্টফুড প্রভৃতি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

কি কি করবেন:

1. নিয়মিত ব্যায়াম চর্চা করুন।

2. পারলে নদীতে বা পুকুরে সাঁতার কাটুন।

3. নিয়মিত হাঁটা অভ্যাস করুন। প্রতিদিন অন্তত 30 থেকে 40 মিনিট ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন।

4. ছোট মাছ খান।

5. রেডমিট জাতীয় মাংস খাওয়া কম করুন বা পারলে খাওয়া ছেড়ে দিন। চর্বি হীন মাংস খান।

6. ভাজাভুজি বা ফাস্টফুড খাওয়া কমিয়ে সেদ্ধ বা ভাপা খাওয়া অভ্যাস করুন।

7. প্রচুর শাকসবজি এবং ফল খান। এতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

8. ধূমপান বা আলকোহল পান থেকে বিরত থাকুন।

9. নিয়মিত BMI চেক করুন।

10. ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খান।

11. নিয়মিত কোলেস্টেরল চেক করুন।


কোলেস্টেরলের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা Ayurvedic treatment of Cholesterol:

1. অর্জুন গাছের ছাল জলে ফুটিয়ে সেই জল পান করলে উপকার পাবেন।

2. রান্নায় বেশি হলুদ ব্যবহার করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

3. জাস্টিমধু বা তুলসী পাতার রস খেলে উপকার পাবেন।

4. করিয়েন্ডার বা ধনে, জলের সাথে ফুটিয়ে ছেঁকে সেই জল খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হয়।

রক্তাল্পতার কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা Anaemia - It's Causes, Symptoms & Treatment in Bengali

আনিমিয়া(Anaemia) বা রক্তাল্পতা  প্রকৃতপক্ষে কোন রোগ নয়, প্রকৃতপক্ষে এটি দেহের বিভিন্ন রোগ এবং গোলযোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ। সুতরাং কোন রোগীর শরীরে আনিমিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধান করে জানতে হবে দেহের অভ্যন্তরে কি জাতীয় রোগ বা গোলযোগের পরিণাম। কারণ রক্তাল্পতা হচ্ছে ওই রোগ বা গোলযোগের পরিণাম।



রক্তাল্পতার কারণ (Cause of Anaemia):


রক্তাল্পতার (Anaemia) পিছনে বিভিন্ন কারণ লুকিয়ে থাকে। যেমন - ভিটামিন B12 অর্থাৎ সায়ানকোবালামিন এবং ভিটামিন B6 অর্থাৎ ফলিক এসিডের অভাবে আনিমিয়া তথা রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে।

এছাড়া লৌহ ঘটিত (Iron) খাদ্যের অভাব, দীর্ঘদিন রোগ ভোগ প্রভৃতি থেকেও এই রোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও হঠাৎ কোন কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত হলেও এটা হতে পারে। সদ্যজাত শিশুর অবশ্য বিভিন্ন কারণে এই রোগ হতে পারে এবং মায়ের স্বাস্থ্যগত ত্রুটির জন্য শিশুদের মধ্যে ইহার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

তবে প্রধানত তিনটি কারণই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগ লক্ষণ সৃষ্টির মূলে থাকে। আমাদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা(RBC) অথবা হিমোগ্লোবিন(HB) পরিমাণ কমে গিয়ে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে। Haemorage বা রক্তক্ষয় জনিত অবস্থা সৃষ্টি হলে বা যদি রক্তের RBC বেশি করে বা দ্রুত ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং রক্ত সৃষ্টিকারী পদার্থের ঘাটতির জন্য যদি রক্তের উপাদান কমে যায় বা রক্ত সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটে।

রক্তাল্পতার লক্ষণ (Symptoms of Anaemia):


1. চোখের ভিতরের নিচের অংশ এবং ঠোঁটের ভিতরের দিক ফ্যাকাসে হয়ে যায়।

2. চোখ জ্বালা করে, বুক ধড়ফড় করে, শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

3. রোগীর খিদে হয় না, কিছু খেতে চায় না। খাবার দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

4. শ্বাসকষ্ট দেখা যায়, হাত পা ও শরীর ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হয়ে যায়, গা ঠান্ডা বা শীতল থাকে।

5. হৃদপিণ্ডের ক্ষীণ গতি, মাথা ব্যথা, ঠোঁটে ঘা, উদাসীন ভাব, খিটখিটে স্বভাব ইত্যাদি।

6. সামান্য কারণেই রোগের আক্রমণ, অতি সহজেই জীবাণু সংক্রমণ ঘটে, স্নায়ুর রোগ ইত্যাদি দেখা যায়।

7. পায়ে এবং মুখমণ্ডলে শোথ ভাব, ক্ষত হলে সহজে শুকাতে চাই না। আঙুলের অগ্রভাগ টিপলে রক্তহীনতার লক্ষণ প্রকট হয়ে ওঠে।

রোগ নির্ণয় (Diagnosis):


Anaemia এর কারণ জানার জন্য laboratory test তথা রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন এবং ইহা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

রক্তের TC, DC বা ESR এবং রক্তে parasite আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা। এছাড়া সিরাম আয়রণ এবং আয়রণ বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি টেস্ট করা দরকার এবং প্রয়োজনে Bone marrow aspiration ও Biopsy করার দরকার হতে পারে।

চিকিৎসা (Treatment):


1. সাধারণত অপুষ্টির জন্য যদি anaemia হয়ে থাকে তবে Iron tablet, ভিটামিন B complex সিরাপ খাওয়াতে হবে।

2. Iron ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে কোন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা ও পথ্য (Supporting measures & diet):


হেমারেজিক কেস হলে রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। গুরুতর কেসে রোগীকে মুখে কোন কিছু খাওয়ান চলবে না। গুরুতর কেস না হলে liquid পথ্য যত দিতে হবে।

রক্তক্ষরণ বন্ধ হলে এবং রোগীর অবস্থা উন্নতি হলে তখন আয়রণ ঘটিত ওষুধ মুখে খাইয়ে দিতে হবে। যেসব খাদ্যে আয়রণ অর্থাৎ লৌহ অধিক পরিমাণে আছে তা খেতে দিতে হবে।

ভিজা ছোলা, মটর সিদ্ধ, মুসুর ডাল প্রভৃতি খেতে দিতে হবে। পালং শাক, নোটে শাক, কুলে খাঁড়া, ডুমুর, কাঁচকলা, থানকুনি, মাগুর মাছ সহ অন্যান্য মাছ খেতে দিতে হবে। ডিম, কাঁচা টম্যাটো, বেদানা, আঙুর, আপেল প্রভৃতি দেওয়া যায়।

মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার কারণ ও চিকিৎসা Migraine - It's Causes & Treatment in Bengali

মাইগ্রেন(Migraine) হল একপ্রকার মাথাব্যথা(Headche) যা মূলত আমাদের কপালে বেশি হতে দেখা যায়। Migraine কে বাংলায় আধকপালে বলা হয় কারণ ইহা আমাদের কপালের অর্ধেক জুড়ে হতে দেখা যায়। তবে একে আধ কপালে বললেও ইহা কখন কখন পুরো কপাল জুড়ে বা আধ কপালে হয়ে পরে ধীরে ধীরে  পুরো কপাল জুড়ে বিস্তার লাভ করে।



মাইগ্রেন সমস্যা ছোট থেকে শুরু করে বড় সবার হতে দেখা যায়। তবে ছেলেদের থেকে মেয়েদের ইহা বেশি হতে দেখা যায়।

মাইগ্রেন 4 ঘন্টা থেকে শুরু করে 72 ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ইহা খুবই বিরক্তিকর একটা অবস্থা। আমরা খুব কম জনেই এর চিকিৎসা করে থাকি। আসলে এর কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। তবে মাইগ্রেন বেশিদিন পর্যন্ত স্থায়ী হলে তা চিন্তার কারণ হতে পারে। সত্যি বলতে মাইগ্রেনের তেমন একটা কুপ্রভাব দেখা যায় না। তবে মাইগ্রেন বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে চিন্তার কারণ হতে পারে।


মাইগ্রেনের কারণ (Causes of Migraine):


মাইগ্রেন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। নীচে কিছু কারণ আলোচনা করা হল।

* মাইগ্রেনের একটা বড় কারণ হল ফ্যামিলি ফ্যাক্টর। অর্থাৎ কোন পরিবারে বাবা-মা এর এই সমস্যা থাকলে তাঁর ছেলে-মেয়েদের ও মাইগ্রেন হতে বেশি দেখা যায়।

* সর্দি বা ঠান্ডা লাগলে মাইগ্রেন হতে পারে।

* অনেক সময় পেটে অম্বলের পরিমাণ বেশি হলে মাইগ্রেন দেখা দেয়।

* মানসিক চিন্তা(Mental stress), দুঃখ ইত্যাদি কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে।

* মেয়েদের মাসিকের গন্ডগোল দেখা দিলে মাইগ্রেন হতে পারে।

* রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে মাইগ্রেন হতে পারে।

মাইগ্রেন হলে কি করবেন? (How to get ride from Migraine?):


জলপান করা (Drink water):

আমাদের দেহে অনেক সময় ডিহাইড্রেশন(Dehydration) অর্থাৎ জলের অভাব ঘটলে মাইগ্রেন বা headche শুরু হয়। মাইগ্রেন শুরু হলে বড় গ্লাসের এক গ্লাস জল খান। মাইগ্রেন কমে যাবে।

স্বাস - প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন (Breathing exercise):

স্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং মানসিক চিন্তা দূর করলে মাইগ্রেন সমস্যা দূর হয়।
এক নাক দিয়ে স্বাস নিয়ে অন্য নাক দিয়ে স্বাস বের করে দিন। এইভাবে দ্রুত বা আস্তে করুন আপনার যেরকম সহ্য হবে।

আর মানসিক চিন্তা দূর করার জন্য যেকোনো একটা কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন। সময়মত খাওয়া দাওয়া করুন। ঠিকমতো ঘুমোতে যান।

বডি ম্যাসাজ (Body massage):

নিয়মিত বডি ম্যাসাজের ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মাইগ্রেন দূর হয়।
বডি ম্যাসাজের জন্য আপনারা কোন professional physiotheraphist এর সাহায্য নিন।

যোগা করুন (Yoga):

যোগা আমাদের দেহের muscle কে relax করে, দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চিন্তা দূর করে যার ফলস্বরূপ মাইগ্রেন দূর হয়।

যোগা করার জন্য কোন যোগ গুরুর সাহায্য নিন। অথবা কোন যোগার বই কিনে বাড়িতে ধীরে ধীরে practice করুন। দেখুন অনেক উপকার পাবেন।

আদা (Ginger):

একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব মানুষরা নিয়মিত মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে আদা খুব উপকারী।

মাইগ্রেন দেখা দিলে একটুকরো আদা কুচি চিবিয়ে খেয়ে জল পান করলে মাইগ্রেন দূর হয়। এছাড়া আদার পাউডার নিয়মিত সেবন করলে মাইগ্রেন সমস্যা আসে না।

খালি পেটে থাকলে (In empty stomach):

দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে মাথা ঘোরা, বমিভাব বা মাইগ্রেন শুরু হয়। তাই চেষ্টা করবেন বেশিক্ষণ খালি পেটে না থাকতে।

খাবার সময় না পেলে কাছে কিছু হালকা খাবার রেখে দিন। সেই গুলি খেয়ে একগ্লাস জল খান।

চা বা কফি পান করা (Drink tea or coffee):

মাইগ্রেন শুরু হলে তা দূর করার একটা সহজ উপায় হল গরম চা বা কফি পান করা।

কফিতে আছে ক্যাফেইন(Caffein) যা আমাদের রক্তবাহের প্রসারণ ঘটিয়ে রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে। যার ফলে মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা দূর হয়।

এককাপ কফির সঙ্গে দুফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে আরও ভালো উপকার পাওয়া যায়।

কামোমিল (Chamomile):

কামোমিলে আছে প্রাকৃতিক soothing এলিমেন্ট যা মাইগ্রেনর জন্য উপকারী।

মাইগ্রেন শুরু হলে chamomile tea পান করুন। দারুন উপকার পাবেন।

আপেল (Apple):

আপনি কি জানেন আপেল নিয়মিত খেলে মাইগ্রেন দূরে থাকে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে green apple এর গন্ধ নাকে গেলে মাইগ্রেন দূর হয়। তাই যাদের মাইগ্রেন সমস্যা আছে তাদের ভালো হয় যদি তারা গ্রিন আপেল নিয়মিত খান।

আঙুর রস (Grapes juice):

আঙুর বিশেষ করে কালো আঙুর কিনে এনে juice তৈরি করে ফেলুন। তারপর সেই juice খান। দেখবেন মাইগ্রেন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তুলসী (Basil):

আপনি কি জানেন টাটকা তুলসী পাতা রোগড়িয়ে সেই ঘ্রাণ নাকে দিলে তৎক্ষণাৎ মাইগ্রেন দূর হয়।

একটি বাটিতে কিছু পরিমাণ সরষের তেল এবং কয়েকটি তুলসীর পাতা নিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই তেল ঠান্ডা করে কাঁচের বোতলে রেখে দিন।
এই তুলসীর তেল দিয়ে কপালে হালকা ম্যাসাজ করলে মাইগ্রেন দূর হয়। নিয়মিত এই ম্যাসাজ করলে মাইগ্রেন আর ফিরে আসে না।