বর্তমানে পৃথিবীতে যতগুলো মরণব্যাধি রোগ আছে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ তাদের মধ্যে একটি। শুধু ব্লাড প্রেসার বললে ভুল হবে, কথাটা হবে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ(Hypertension or High blood pressure)। যা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করছে। প্রতি বছর 17 ই মে বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবস বা World Hypertension Day হিসাবে পালন করা হয়।
ব্লাড প্রেসার কি তা সংক্ষেপে একটু বলি। আমাদের দেহের ধমনি(Artery) গুলির মাধ্যমে রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ দেহের vital organ গুলোতে পৌঁছায়। এখন আমাদের যত বয়স হয় তত এই ধমনিগুলির ভিতরের প্রাচীর অর্থাৎ অন্তপ্রাচীরের ব্যাস কমে যেতে থাকে। ভালোভাবে বলতে গেলে ভিতরের প্রাচীরে চর্বি বা ফ্যাট জমা হতে থাকে। এর জন্য অবশ্য 90% দায়ী আমাদের লাইফ স্টাইল। ধমনীর অন্তপ্রাচীরে ফ্যাট জমা হওয়ার ফলে রক্ত আগের মত আর full speed এ প্রবাহিত হতে পারে না। ধমনি প্রাচীরে একটা চাপের সৃষ্টি হয়। ইহাকেই ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ বলে।
ব্লাড প্রেসার বাড়ার কারণ হিসাবে বলা বলা যায়, আমাদের অলস জীবনযাপন, unhealthy food, খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, মানসিক চাপ, birth control pill এবং pain killer খাওয়া, কিছু বংশগত রোগ ইত্যাদি।
ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার ফল কিন্তু মারাত্মক। ব্লাড প্রেসারকে Silent killer বলা হয়, কারণ ইহা আগাম কোন এলার্ম ছাড়াই আমাদের মৃত্যু ঘটাতে পারে। ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে heart attack, stroke, diabetes, kidney failure এবং অন্যান্য মারাত্মক সব প্রতিক্রিয়া আমাদের দেহে দেখা যায়।
ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্য আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম ড্রাগ বা ওষুধ খেয়ে থাকি যার side effect কিন্তু মারাত্মক। এই article এ 10 টি ঘরোয়া টিপসের কথা share করা হচ্ছে, আশা করা যায় এগুলি আপনাদের উপকারে আসবে।
1. তরমুজের বীজ:
দুই চামচ মত তরমুজের শুকনো বীজ নিয়ে ভালো করে বেঁটে নিন। এরপর এই বেঁটে নেওয়া বীজগুলো এক মগ গরম জলে 1 ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখুন। 1 ঘন্টা পর জল ছেঁকে নিয়ে তরমুজের বীজগুলো আলাদা করে নিন। ছেঁকে নেওয়া জল দিনে 3 বার খেয়ে নিন। দেখবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লেভেল ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
2. ডাবের জল:
ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন C থাকে, যা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি ডাবের জল খেলে পেট ভালো থাকে, পেটের যাবতীয় রোগ দূর হয়। প্রতিদিন অন্তত 4 গ্লাস ডাবের জল খান। দেখবেন ব্লাড প্রেসার কমে যাচ্ছে।
3. পাতিলেবু:
পাতিলেবু ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুন উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটু হালকা গরম জলের সঙ্গে আধখানা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন এতে কোন লবণ বা চিনি মেশাবেন না। কারণ লবন বা চিনি ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়।
4. পালংশাক:
পালংশাক রান্না খেলে যেমন ব্লাড প্রেসার কমে যায় তেমনি পালংশাক কাঁচাও খাওয়া যায়। প্রতিদিন চা'য়ের সঙ্গে পালংশাকের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা পালংশাকের কান্ড কুটিকুটি করে কেটে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন। এতে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
5. মেথির বীজ:
একটি পাত্রে পরিমাণমত জল ও এক চামচ মেথির বীজ মিশিয়ে জল অন্ততপক্ষে 2 মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হয়ে এলে ছেঁকে মেথির বীজ আলাদা করে নিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। এইভাবে 2 মাস চালিয়ে যান। দেখবেন আপনার ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গেছে।
6. আদা ও মধু:
আদা বা মধু সাধারণ ঠান্ডা সর্দিতে যেমন উপকারী তেমনি ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্যও দারুন কার্যকরী। একটি কাপে আদার রস ও মধু সমপরিমাণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার খান। আপনার ব্লাড প্রেসার হাই থাকলে তা কন্ট্রোলের মধ্যে চলে আসবে।
7. রসুন ও মধু:
আদার মত রসুনও ব্লাড প্রেসার কমাতে পারে। একটি বা দুটি রসুনের কোয়া খান এবং সেই সঙ্গে একটু মধুও খেয়ে নিন। এটা বিশেষ করে সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া আপনি এক গ্লাস জলে কিছুটা রসুনের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
8. বিটের জুস:
কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে যে, প্রতিদিন যদি এক গ্লাস বিটের জুস পান করা হয় তবে ব্লাড প্রেসার নরমাল থাকে। আপনি বাড়িতে জুসার দিয়ে বিটের জুস বানিয়ে নিন এবং প্রতিদিন খেতে থাকুন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।
9. পেঁয়াজের রস:
পেঁয়াজের মধ্যে পটাসিয়াম ও ফসফরাস অধিক মাত্রায় থাকার জন্য ইহা ব্লাড প্রেসার কমাতে হেল্পফুল। জুসার মেশিন দিয়ে বা বেঁটে পেঁয়াজের রস করে নিন। একটি কাপে এই পেঁয়াজের রস ও মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খান। এইভাবে দুই সপ্তাহ খেয়ে যান। আপনার ব্লাড প্রেসার কমে যাবে।
10. পাকা কলা:
পাকা কলায় সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে কিন্তু পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকার জন্য ইহা ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুন কার্যকরী। রুটি, কেক বা অন্যান্য ফাইবার জাতীয় খাবারের সঙ্গে পাকা কলা যোগ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি মিডিয়াম সাইজের পাকা কলা খেতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার কি তা সংক্ষেপে একটু বলি। আমাদের দেহের ধমনি(Artery) গুলির মাধ্যমে রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ দেহের vital organ গুলোতে পৌঁছায়। এখন আমাদের যত বয়স হয় তত এই ধমনিগুলির ভিতরের প্রাচীর অর্থাৎ অন্তপ্রাচীরের ব্যাস কমে যেতে থাকে। ভালোভাবে বলতে গেলে ভিতরের প্রাচীরে চর্বি বা ফ্যাট জমা হতে থাকে। এর জন্য অবশ্য 90% দায়ী আমাদের লাইফ স্টাইল। ধমনীর অন্তপ্রাচীরে ফ্যাট জমা হওয়ার ফলে রক্ত আগের মত আর full speed এ প্রবাহিত হতে পারে না। ধমনি প্রাচীরে একটা চাপের সৃষ্টি হয়। ইহাকেই ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ বলে।
ব্লাড প্রেসার বাড়ার কারণ হিসাবে বলা বলা যায়, আমাদের অলস জীবনযাপন, unhealthy food, খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, মানসিক চাপ, birth control pill এবং pain killer খাওয়া, কিছু বংশগত রোগ ইত্যাদি।
ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার ফল কিন্তু মারাত্মক। ব্লাড প্রেসারকে Silent killer বলা হয়, কারণ ইহা আগাম কোন এলার্ম ছাড়াই আমাদের মৃত্যু ঘটাতে পারে। ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে heart attack, stroke, diabetes, kidney failure এবং অন্যান্য মারাত্মক সব প্রতিক্রিয়া আমাদের দেহে দেখা যায়।
ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্য আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম ড্রাগ বা ওষুধ খেয়ে থাকি যার side effect কিন্তু মারাত্মক। এই article এ 10 টি ঘরোয়া টিপসের কথা share করা হচ্ছে, আশা করা যায় এগুলি আপনাদের উপকারে আসবে।
ব্লাড প্রেসার কমানোর 10 টি ঘরোয়া উপায় (10 home remedies to reduce blood pressure naturally):
1. তরমুজের বীজ:
দুই চামচ মত তরমুজের শুকনো বীজ নিয়ে ভালো করে বেঁটে নিন। এরপর এই বেঁটে নেওয়া বীজগুলো এক মগ গরম জলে 1 ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখুন। 1 ঘন্টা পর জল ছেঁকে নিয়ে তরমুজের বীজগুলো আলাদা করে নিন। ছেঁকে নেওয়া জল দিনে 3 বার খেয়ে নিন। দেখবেন আপনার ব্লাড প্রেসার লেভেল ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
2. ডাবের জল:
ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন C থাকে, যা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি ডাবের জল খেলে পেট ভালো থাকে, পেটের যাবতীয় রোগ দূর হয়। প্রতিদিন অন্তত 4 গ্লাস ডাবের জল খান। দেখবেন ব্লাড প্রেসার কমে যাচ্ছে।
3. পাতিলেবু:
পাতিলেবু ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুন উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটু হালকা গরম জলের সঙ্গে আধখানা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন এতে কোন লবণ বা চিনি মেশাবেন না। কারণ লবন বা চিনি ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়।
4. পালংশাক:
পালংশাক রান্না খেলে যেমন ব্লাড প্রেসার কমে যায় তেমনি পালংশাক কাঁচাও খাওয়া যায়। প্রতিদিন চা'য়ের সঙ্গে পালংশাকের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা পালংশাকের কান্ড কুটিকুটি করে কেটে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন। এতে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
5. মেথির বীজ:
একটি পাত্রে পরিমাণমত জল ও এক চামচ মেথির বীজ মিশিয়ে জল অন্ততপক্ষে 2 মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হয়ে এলে ছেঁকে মেথির বীজ আলাদা করে নিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। এইভাবে 2 মাস চালিয়ে যান। দেখবেন আপনার ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গেছে।
6. আদা ও মধু:
আদা বা মধু সাধারণ ঠান্ডা সর্দিতে যেমন উপকারী তেমনি ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্যও দারুন কার্যকরী। একটি কাপে আদার রস ও মধু সমপরিমাণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার খান। আপনার ব্লাড প্রেসার হাই থাকলে তা কন্ট্রোলের মধ্যে চলে আসবে।
7. রসুন ও মধু:
আদার মত রসুনও ব্লাড প্রেসার কমাতে পারে। একটি বা দুটি রসুনের কোয়া খান এবং সেই সঙ্গে একটু মধুও খেয়ে নিন। এটা বিশেষ করে সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া আপনি এক গ্লাস জলে কিছুটা রসুনের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
8. বিটের জুস:
কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে যে, প্রতিদিন যদি এক গ্লাস বিটের জুস পান করা হয় তবে ব্লাড প্রেসার নরমাল থাকে। আপনি বাড়িতে জুসার দিয়ে বিটের জুস বানিয়ে নিন এবং প্রতিদিন খেতে থাকুন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।
9. পেঁয়াজের রস:
পেঁয়াজের মধ্যে পটাসিয়াম ও ফসফরাস অধিক মাত্রায় থাকার জন্য ইহা ব্লাড প্রেসার কমাতে হেল্পফুল। জুসার মেশিন দিয়ে বা বেঁটে পেঁয়াজের রস করে নিন। একটি কাপে এই পেঁয়াজের রস ও মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খান। এইভাবে দুই সপ্তাহ খেয়ে যান। আপনার ব্লাড প্রেসার কমে যাবে।
10. পাকা কলা:
পাকা কলায় সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে কিন্তু পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকার জন্য ইহা ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুন কার্যকরী। রুটি, কেক বা অন্যান্য ফাইবার জাতীয় খাবারের সঙ্গে পাকা কলা যোগ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি মিডিয়াম সাইজের পাকা কলা খেতে পারেন।