গরমকাল চলে যাবার পরই শীতের আগমন শুরু হয়ে যায়। আর তারপরই যত বিপত্তি ঘটতে শুরু করে। অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি আমাদের শরীর শীতকে মানিয়ে নিতে একটু দেরি করে। যারফলে আমাদের বেশিরভাগ জনেরই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। শারীরিক সমস্যা বলতে সামান্য একটু সর্দি কাশি, জ্বর বা ত্বকের কিছু সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
শীত এলেই আমাদের বেশিরভাগ জনেরই ঠান্ডা লেগে যায়, নাক দিয়ে সর্দি ঝরতে থাকে, কারও আবার কাশি শুরু হয়ে যায়। আর সবার ক্ষেত্রে যেটা common সেটি হল আমাদের ত্বকের শুষ্কভাব। শীতের দাপটে আমাদের মুখ, হাত, পা এমনকি ঠোঁটেরও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, মানে ফেটে চৌচির। কোল্ড ক্রীম, ভেসলিন, বডি অয়েল বা অন্যান্য যেসব শীতের উপকরণ থাকে তাদের কদর তখন বেড়ে যায়।
কি যেন একটা প্রবাদ আছে, "শরীরের নাম মহাশয়....." ইত্যাদি ইত্যাদি বাকিটা ঠিক মনে নেই। শরীরকেই বা দোষ দিয়ে কি লাভ। সে যেন বলতে চাইছে, কি রে বাবা এই তো গরম সহ্য করে এলাম, আবার শীত? শীত চলে এলেই আমরা অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। বিশেষ করে মেয়েরা। কারণ মেয়েরা ভাবে শীত তাদের রূপ জৌলুস কেড়ে নেবে। এটাও ঠিক কথা।
সামান্য শরীর খারাপ করলেই ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। আমরা এই জিনিসটা হয়তো ভুলে গেছি, "Prevention is better than cure". অর্থাৎ রোগ থেকে বাঁচার আগে রোগটা কে কিভাবে প্রতিরোধ করবো সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। আমার এই লেখায় কিভাবে শীতের হাত থেকে বেঁচে নিজের শরীর ভালো রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।
1. হলুদ
হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। হলুদের পুষ্টিগুণ আমাদের কারও অজানা নয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের ইম্মুনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে দেয়। যারফলে সর্দি কাশি দূরে থাকে। এছাড়া এটা নিয়মিত খেলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয় যা শীতকালে আমাদের শরীরকে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে।
2. মিষ্টি আলু
শীতকালে মিষ্টি আলু খাওয়া দারুন উপকারী। কারণ মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন A ও পটাসিয়াম যা শীতকালে কোষ্টকাঠিন্য এর হাত থেকে আমাদেরকে রেহাই দেয়। এছাড়া ইহা আমাদের দেহের ইম্মুনিটি সিস্টেমকে বুস্ট করে অর্থাৎ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
3. খেজুর
নিয়মিত খেজুর খাওয়া দেহের পক্ষে ভালো। খেজুরে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে এবং এর পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। খেজুরে পটাসিয়াম বেশি থাকায় ইহা রক্তচাপ কমায়। খেজুর দেহে তাপ উৎপাদন করে যা শীতকালে ঠান্ডা সর্দি ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করে।
4. আদা
আদার নাম শুনলেই যেন পেটের যত গন্ডগোল, সর্দি কাশি, ঠান্ডা দূর দূর করে পালায়। শীতকালে সকাল সন্ধ্যায় আদা দিয়ে লিকার চা পান করুন। অথবা আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন। দেহ থেকে ঠান্ডা, সর্দি কাশি পালিয়ে যাবে। এছাড়া পেটের গন্ডগোলও দূর হবে।
5. শুকনো খাবার
শীতকালে আর্দ্র খাবারের চেয়ে শুকনো খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া ভালো। শুকনো খাবার শরীরে তাপ উৎপাদনে বেশি সাহায্য করে যা শীতকালে খুবই প্রয়োজন। শুকনো খাবার বলতে গমের রুটি বা পরোটা, ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা, কিছু শুকনো ফল ইত্যাদি। রাত্রিতে ভাত খাওয়ার চেয়ে শুকনো গমের রুটি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো। এর সাথে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া ভালো।
শীত এলেই আমাদের বেশিরভাগ জনেরই ঠান্ডা লেগে যায়, নাক দিয়ে সর্দি ঝরতে থাকে, কারও আবার কাশি শুরু হয়ে যায়। আর সবার ক্ষেত্রে যেটা common সেটি হল আমাদের ত্বকের শুষ্কভাব। শীতের দাপটে আমাদের মুখ, হাত, পা এমনকি ঠোঁটেরও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, মানে ফেটে চৌচির। কোল্ড ক্রীম, ভেসলিন, বডি অয়েল বা অন্যান্য যেসব শীতের উপকরণ থাকে তাদের কদর তখন বেড়ে যায়।
কি যেন একটা প্রবাদ আছে, "শরীরের নাম মহাশয়....." ইত্যাদি ইত্যাদি বাকিটা ঠিক মনে নেই। শরীরকেই বা দোষ দিয়ে কি লাভ। সে যেন বলতে চাইছে, কি রে বাবা এই তো গরম সহ্য করে এলাম, আবার শীত? শীত চলে এলেই আমরা অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। বিশেষ করে মেয়েরা। কারণ মেয়েরা ভাবে শীত তাদের রূপ জৌলুস কেড়ে নেবে। এটাও ঠিক কথা।
সামান্য শরীর খারাপ করলেই ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। আমরা এই জিনিসটা হয়তো ভুলে গেছি, "Prevention is better than cure". অর্থাৎ রোগ থেকে বাঁচার আগে রোগটা কে কিভাবে প্রতিরোধ করবো সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। আমার এই লেখায় কিভাবে শীতের হাত থেকে বেঁচে নিজের শরীর ভালো রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।
শীতকালে শরীর সুস্থ রাখার জন্য 5 টি খাবার ( 5 foods to eat during winter for good health):
1. হলুদ
হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। হলুদের পুষ্টিগুণ আমাদের কারও অজানা নয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের ইম্মুনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে দেয়। যারফলে সর্দি কাশি দূরে থাকে। এছাড়া এটা নিয়মিত খেলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয় যা শীতকালে আমাদের শরীরকে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে।
2. মিষ্টি আলু
শীতকালে মিষ্টি আলু খাওয়া দারুন উপকারী। কারণ মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন A ও পটাসিয়াম যা শীতকালে কোষ্টকাঠিন্য এর হাত থেকে আমাদেরকে রেহাই দেয়। এছাড়া ইহা আমাদের দেহের ইম্মুনিটি সিস্টেমকে বুস্ট করে অর্থাৎ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
3. খেজুর
নিয়মিত খেজুর খাওয়া দেহের পক্ষে ভালো। খেজুরে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে এবং এর পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। খেজুরে পটাসিয়াম বেশি থাকায় ইহা রক্তচাপ কমায়। খেজুর দেহে তাপ উৎপাদন করে যা শীতকালে ঠান্ডা সর্দি ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করে।
4. আদা
আদার নাম শুনলেই যেন পেটের যত গন্ডগোল, সর্দি কাশি, ঠান্ডা দূর দূর করে পালায়। শীতকালে সকাল সন্ধ্যায় আদা দিয়ে লিকার চা পান করুন। অথবা আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন। দেহ থেকে ঠান্ডা, সর্দি কাশি পালিয়ে যাবে। এছাড়া পেটের গন্ডগোলও দূর হবে।
5. শুকনো খাবার
শীতকালে আর্দ্র খাবারের চেয়ে শুকনো খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া ভালো। শুকনো খাবার শরীরে তাপ উৎপাদনে বেশি সাহায্য করে যা শীতকালে খুবই প্রয়োজন। শুকনো খাবার বলতে গমের রুটি বা পরোটা, ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা, কিছু শুকনো ফল ইত্যাদি। রাত্রিতে ভাত খাওয়ার চেয়ে শুকনো গমের রুটি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো। এর সাথে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া ভালো।