খুসকি(Dandruff) হল আমাদের মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প(Scalp) এর একটি বিরক্তিকর রোগ। সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি খুসকি সমস্যাই ভুগে থাকেন। খুসকি আসলে আমাদের স্কাল্পের মরা চামড়া। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে(Personal life) খুশকির একটি দারুন প্রভাব আছে। প্রভাবটি হল সবসময় আমাদের পিছনে লাগা বা বিরক্ত করা।
বুঝলেন না কি বললাম? আসলে সত্যি কথা হল যেনারা খুশকি সমস্যাই ভুগছেন তেনারা সবসময় মাথা চুলকান। খুসকি আমাদের ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি করে। তাই আমরা আঙুল বা নখ দিয়ে মাথা চুলকায়।
এই খুশকির জন্যই আমাদের মাথার চুল পড়ে যেতে থাকে। দীর্ঘদিন মাথায় খুসকি থাকলে চুল পেকে যেতে থাকে।
মাথায় খুসকি নানা কারণে হতে পারে। আমাদের মাথার চামড়া প্রতিদিনই তার রূপ পরিবর্তন করে। অর্থাৎ পুরোনো চামড়া মারা গিয়ে আবার নতুন চামড়ার সৃষ্টি হয়। এই প্রসেস(Process) চলাকালীন যদি মালাসেজিয়া(Malasezia) নামক একপ্রকার ছত্রাকের(Fungus) আক্রমণ ঘটে তবে খুসকি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আমরা যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বাসকরি তবে খুসকির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। কারণ স্যাঁতসেঁতে জায়গা খুসকিরা বেশি পছন্দ করে।
আবার আপনি যদি অতিরিক্ত ধুলা বালি, ময়লা, ধুঁয়া ইত্যাদি পরিবেশে বাস করেন তবে আপনার খুসকি হবে। আমাদের মাথায় প্রতিদিন ধুলা বালি ইত্যাদি বসে এবং মাথায় মরা চামড়া গুলিও জমা হয়। তাই নিয়মিত মাথা পরিস্কার না করলে খুশকিরা সেখানে বাসা বাঁধে।
এছাড়া দীর্ঘদিন পুষ্টির অভাব, ভিটামিন B ও আয়রনের অভাব ইত্যাদি কারণে মাথায় খুসকি হয়।
যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে বা এলার্জি সমস্যাই ভোগেন এবং যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই খুশকির সমস্যাই বেশি ভোগেন।
নারকেল তেল (Coconut oil):
নারকেল তেলে antifungal উপাদান থাকার জন্য ইহা খুসকি প্রতিরোধ করে। নারকেল তেল স্কাল্পের শুষ্কভাব দূর করে ফলে চুলকানি সমস্যা দূর হয়।
একটি বাটিতে কিছু পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে তার সাথে একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ চুলে লাগান। 20 মিনিট পর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এইভাবে সপ্তাহে তিনদিন করুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে।
পাতিলেবু (Lemon):
পাতিলেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা স্কাল্পের fungus গুলিকে মেরে ফেলে এবং খুসকি হতে দেয় না। এছাড়া ইহা ত্বকের চুলকানিও দূর করে।
একটি বাটিতে পাতিলেবুর রস নিয়ে তার সাথে একটু টক দই মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর এই পেস্টটি সমস্ত মাথায় ভালো করে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে দুইদিন করুন।
এছাড়া আপনি পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে সেই জল তুলো দিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। একই ফল পাবেন।
আসপিরিন (Aspirin):
আসপিরিন মূলত দেহে ব্যথা বেদনা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তাহলে আপনারা হয়তো ভাবছেন এর সাথে খুসকির কি সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে বন্ধুরা।
আসপিরিনে আছে সালিসাইলিক এসিড(Salicylic acid) যা স্কাল্পের fungus গুলিকে ধ্বংস করে এবং খুসকি প্রতিরোধ করে।
একটি আসপিরিন ট্যাবলেট ভালো করে গুঁড়ো করে সেটা আপনার চুলের পরিমাণ অনুযায়ী শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই শ্যাম্পু মাথায় অন্তত 5 মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এইভাবে করুন।
এলোভেরা (Aloe vera):
খুশকির জন্য স্ক্যাল্পে চুলকানি হলে এলোভেরা জেল তার একমাত্র সমাধান। এলোভেরায় আছে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান এবং cooling effect যা চুলকানি উপশম করে ত্বক ঠান্ডা রাখে।
একটি এলোভেরা পাতা নিয়ে ছুরি দিয়ে ভিতরের জেল অংশটি চেঁছে নিতে হবে। তারপর সেটি সরাসরি আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন এইভাবে করলে ত্বকের চুলকানি দূর হবে।
এছাড়া এলোভেরা জেল natural conditioner হিসাবে কাজ করে।
নিম পাতা (Neem leaves):
নিম পাতায় আছে antifungal এবং antibacterial উপাদান যা খুসকি প্রতিরোধ করে এবং চুলকানি উপশম করে।
একমুঠো নিম পাতা জলে ফেলে সেই জল ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই জল সারারাত রেখে পরেরদিন সকালে নিম পাতাগুলি ছেঁকে নিতে হবে। এরপর সেইজল দিয়ে সমস্ত চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
এছাড়া টাটকা নিম পাতা বেঁটে পেস্ট করে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। তারপর 30 মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইদিন করলেই হবে।
অলিভ অয়েল (Olive oil):
অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক moisturizer যা আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকানি উপশম করে।
একটি বাটিতে অলিভ অয়েল নিয়ে সামান্য গরম করে নিন। তারপর সেই তেল দিয়ে চুল এবং স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে সমস্ত চুল কোন তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। এইভাবে 45 মিনিট থাকার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এইভাবে আপনি সারারাতও রাখতে পারেন এবং পরেরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। অনেক ভালো উপকার পাবেন।
টি ট্রি অয়েল (Tea tree oil):
Tea tree oil এ antifungal এবং antibacterial ক্ষমতা বর্তমান। এর জন্য ইহা খুসকি প্রতিরোধে দারুন কাজ করে।
আপনার শ্যাম্পুতে 2 - 3 ফোঁটা Tea tree oil মিশিয়ে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। তারপর 2 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন করুন। উপকার পাবেন।
বুঝলেন না কি বললাম? আসলে সত্যি কথা হল যেনারা খুশকি সমস্যাই ভুগছেন তেনারা সবসময় মাথা চুলকান। খুসকি আমাদের ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি করে। তাই আমরা আঙুল বা নখ দিয়ে মাথা চুলকায়।
এই খুশকির জন্যই আমাদের মাথার চুল পড়ে যেতে থাকে। দীর্ঘদিন মাথায় খুসকি থাকলে চুল পেকে যেতে থাকে।
খুসকি কি কারণে হয়? (Causes of dandruff?):
মাথায় খুসকি নানা কারণে হতে পারে। আমাদের মাথার চামড়া প্রতিদিনই তার রূপ পরিবর্তন করে। অর্থাৎ পুরোনো চামড়া মারা গিয়ে আবার নতুন চামড়ার সৃষ্টি হয়। এই প্রসেস(Process) চলাকালীন যদি মালাসেজিয়া(Malasezia) নামক একপ্রকার ছত্রাকের(Fungus) আক্রমণ ঘটে তবে খুসকি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আমরা যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বাসকরি তবে খুসকির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। কারণ স্যাঁতসেঁতে জায়গা খুসকিরা বেশি পছন্দ করে।
আবার আপনি যদি অতিরিক্ত ধুলা বালি, ময়লা, ধুঁয়া ইত্যাদি পরিবেশে বাস করেন তবে আপনার খুসকি হবে। আমাদের মাথায় প্রতিদিন ধুলা বালি ইত্যাদি বসে এবং মাথায় মরা চামড়া গুলিও জমা হয়। তাই নিয়মিত মাথা পরিস্কার না করলে খুশকিরা সেখানে বাসা বাঁধে।
এছাড়া দীর্ঘদিন পুষ্টির অভাব, ভিটামিন B ও আয়রনের অভাব ইত্যাদি কারণে মাথায় খুসকি হয়।
যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে বা এলার্জি সমস্যাই ভোগেন এবং যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই খুশকির সমস্যাই বেশি ভোগেন।
খুসকি কিভাবে দূর করবেন? (How to prevent dandruff?):
নারকেল তেল (Coconut oil):
নারকেল তেলে antifungal উপাদান থাকার জন্য ইহা খুসকি প্রতিরোধ করে। নারকেল তেল স্কাল্পের শুষ্কভাব দূর করে ফলে চুলকানি সমস্যা দূর হয়।
একটি বাটিতে কিছু পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে তার সাথে একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ চুলে লাগান। 20 মিনিট পর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এইভাবে সপ্তাহে তিনদিন করুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে।
পাতিলেবু (Lemon):
পাতিলেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা স্কাল্পের fungus গুলিকে মেরে ফেলে এবং খুসকি হতে দেয় না। এছাড়া ইহা ত্বকের চুলকানিও দূর করে।
একটি বাটিতে পাতিলেবুর রস নিয়ে তার সাথে একটু টক দই মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর এই পেস্টটি সমস্ত মাথায় ভালো করে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে দুইদিন করুন।
এছাড়া আপনি পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে সেই জল তুলো দিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। একই ফল পাবেন।
আসপিরিন (Aspirin):
আসপিরিন মূলত দেহে ব্যথা বেদনা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তাহলে আপনারা হয়তো ভাবছেন এর সাথে খুসকির কি সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে বন্ধুরা।
আসপিরিনে আছে সালিসাইলিক এসিড(Salicylic acid) যা স্কাল্পের fungus গুলিকে ধ্বংস করে এবং খুসকি প্রতিরোধ করে।
একটি আসপিরিন ট্যাবলেট ভালো করে গুঁড়ো করে সেটা আপনার চুলের পরিমাণ অনুযায়ী শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই শ্যাম্পু মাথায় অন্তত 5 মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এইভাবে করুন।
এলোভেরা (Aloe vera):
খুশকির জন্য স্ক্যাল্পে চুলকানি হলে এলোভেরা জেল তার একমাত্র সমাধান। এলোভেরায় আছে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান এবং cooling effect যা চুলকানি উপশম করে ত্বক ঠান্ডা রাখে।
একটি এলোভেরা পাতা নিয়ে ছুরি দিয়ে ভিতরের জেল অংশটি চেঁছে নিতে হবে। তারপর সেটি সরাসরি আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন এইভাবে করলে ত্বকের চুলকানি দূর হবে।
এছাড়া এলোভেরা জেল natural conditioner হিসাবে কাজ করে।
নিম পাতা (Neem leaves):
নিম পাতায় আছে antifungal এবং antibacterial উপাদান যা খুসকি প্রতিরোধ করে এবং চুলকানি উপশম করে।
একমুঠো নিম পাতা জলে ফেলে সেই জল ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই জল সারারাত রেখে পরেরদিন সকালে নিম পাতাগুলি ছেঁকে নিতে হবে। এরপর সেইজল দিয়ে সমস্ত চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
এছাড়া টাটকা নিম পাতা বেঁটে পেস্ট করে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। তারপর 30 মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইদিন করলেই হবে।
অলিভ অয়েল (Olive oil):
অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক moisturizer যা আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকানি উপশম করে।
একটি বাটিতে অলিভ অয়েল নিয়ে সামান্য গরম করে নিন। তারপর সেই তেল দিয়ে চুল এবং স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে সমস্ত চুল কোন তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। এইভাবে 45 মিনিট থাকার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এইভাবে আপনি সারারাতও রাখতে পারেন এবং পরেরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। অনেক ভালো উপকার পাবেন।
টি ট্রি অয়েল (Tea tree oil):
Tea tree oil এ antifungal এবং antibacterial ক্ষমতা বর্তমান। এর জন্য ইহা খুসকি প্রতিরোধে দারুন কাজ করে।
আপনার শ্যাম্পুতে 2 - 3 ফোঁটা Tea tree oil মিশিয়ে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। তারপর 2 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন করুন। উপকার পাবেন।