মহিলাদের রজঃস্রাব বিফলতার জন্য তলপেটে এবং কোমরে এক প্রকার কষ্টকর বেদনা দেখা দেয়। ইহাকে ঋতুশূল বা বাধক বেদনা(Dysmenorrhoea) বলে। বাধক মহিলাদের খুবই একটি কষ্টকর ব্যাধি। বাধকের সময় মহিলারা তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম বা সাংসারিক যেকোন কাজকর্ম করতে অসমর্থ হয়। তাদের কাছে এই ব্যাধি যেন নরক যন্ত্রণার সমান। বিভিন্ন কারণে বাধক বেদনা হতে পারে।
1. বস্তিদেশে অবস্থিত অঙ্গসমূহে রক্তের অধিক উপস্থিতি।
2. জরায়ু পেশির অস্বাভাবিক ও প্রবল সংকোচন।
3. বস্তিদেশের অঙ্গসমূহে যেমন - ডিম্বকোষ, ডিম্বনালী, জরায়ু, জরায়ু আবরণে টিউমার।
4. জরায়ুর স্বাভাবিক পুষ্টির(Nutrition) অভাব।
5. জরায়ুর স্থানচ্যুতি।
6. জরায়ু গ্রীবার পথের সংকোচন ও জরায়ুর নিসারক ধমনীতে রক্তের আধিক্য।
7. হিম লাগা, ঠান্ডা লাগা, জরায়ুর প্রদাহ, ডিম্বকোশের রোগ, কোষ্টকাঠিন্য(Constipation) বা কোন যান্ত্রিক গোলযোগ।
8. হরমোনের স্বল্পতা, জন্ম থেকে জননতন্ত্রের গঠনগত ত্রুটি, অত্যধিক পরিশ্রম ইত্যাদি কারণে এই রোগ হতে পারে।
1. রজঃস্রাবের আগে ও রজঃস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথা।
2. ঋতুস্রাব অতি সামান্য পরিমাণে হওয়া।
3. পিঠে, কোমরে, ঊরুদেশে, ডিম্বকোশে, জরায়ুতে ব্যথা অনুভব করা।
4. মাথাধরা, বুক ধড়ফড় করা, সামান্য বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব।
5. ক্ষুধাহীনতা, বমি বমিভাব, মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি।
6. ঋতু শুরু হওয়ার দু একদিন আগে থেকে প্রবল ব্যথা অনুভব, তলপেটে টাটানি ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা ইত্যাদি।
7. এক সময় যন্ত্রণা তীব্রতর হয়ে ওঠে, ফলে রোগিনী যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। ঋতুস্রাবের প্রথম দিন যন্ত্রণা কম হয়। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন যন্ত্রণা তীব্র হয়ে ওঠে এবং চতুর্থ দিন থেকে যন্ত্রণা কমতে থাকে।
8. ঋতুস্রাব শুরু হবার দুদিন আগে থেকে পা দুটিতে এবং উরুতে ব্যথা যন্ত্রণা শুরু হয়। ঋতু চলাকালীন আলস্য ভাব, গা হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
9. ঋতু চলাকালীন তলপেটে, কোমরে, পিঠের শিরদাঁড়ায় অসহ্য ব্যথা হয়।
ঋতু চলাকালীন অসহ্য ব্যথা যন্ত্রণা শুরু হলে ব্যথা যন্ত্রণানাশক ওষুধ(Analgesic) খাওয়াতে হবে। এরফলে রোগী ব্যথা যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কোন ভালো মহিলা বিশেষজ্ঞ (Gynaecologist) এর পরামর্শ নিতে হবে।
এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত রোগীদের আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা ও পথ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। অশিক্ষিত ও গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ ও শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। নিন্মলিখিত বিষয় গুলির ওপর নজর দিতে হবে -
1. ঠান্ডা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। গরম পানীয় খাওয়া এবং তলপেটে গরম সেঁক দেওয়া ভালো।
2. হালকা সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার।
3. হালকা ব্যায়াম ও মুক্ত বাতাসে ভ্রমণ এই রোগের পক্ষে উপকারী।
4. বিবাহিত মহিলাদের গর্ভধারণের উপদেশ দেওয়া ভালো কারণ একটি সন্তান প্রসবের পর এই রোগ সচরাচর থাকে না।
বাধকের কারণ (Cause of Dysmenorrhoea):
1. বস্তিদেশে অবস্থিত অঙ্গসমূহে রক্তের অধিক উপস্থিতি।
2. জরায়ু পেশির অস্বাভাবিক ও প্রবল সংকোচন।
3. বস্তিদেশের অঙ্গসমূহে যেমন - ডিম্বকোষ, ডিম্বনালী, জরায়ু, জরায়ু আবরণে টিউমার।
4. জরায়ুর স্বাভাবিক পুষ্টির(Nutrition) অভাব।
5. জরায়ুর স্থানচ্যুতি।
6. জরায়ু গ্রীবার পথের সংকোচন ও জরায়ুর নিসারক ধমনীতে রক্তের আধিক্য।
7. হিম লাগা, ঠান্ডা লাগা, জরায়ুর প্রদাহ, ডিম্বকোশের রোগ, কোষ্টকাঠিন্য(Constipation) বা কোন যান্ত্রিক গোলযোগ।
8. হরমোনের স্বল্পতা, জন্ম থেকে জননতন্ত্রের গঠনগত ত্রুটি, অত্যধিক পরিশ্রম ইত্যাদি কারণে এই রোগ হতে পারে।
বাধকের লক্ষণ (Symptoms of Dysmenorrhoea):
1. রজঃস্রাবের আগে ও রজঃস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথা।
2. ঋতুস্রাব অতি সামান্য পরিমাণে হওয়া।
3. পিঠে, কোমরে, ঊরুদেশে, ডিম্বকোশে, জরায়ুতে ব্যথা অনুভব করা।
4. মাথাধরা, বুক ধড়ফড় করা, সামান্য বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব।
5. ক্ষুধাহীনতা, বমি বমিভাব, মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি।
6. ঋতু শুরু হওয়ার দু একদিন আগে থেকে প্রবল ব্যথা অনুভব, তলপেটে টাটানি ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা ইত্যাদি।
7. এক সময় যন্ত্রণা তীব্রতর হয়ে ওঠে, ফলে রোগিনী যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। ঋতুস্রাবের প্রথম দিন যন্ত্রণা কম হয়। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন যন্ত্রণা তীব্র হয়ে ওঠে এবং চতুর্থ দিন থেকে যন্ত্রণা কমতে থাকে।
8. ঋতুস্রাব শুরু হবার দুদিন আগে থেকে পা দুটিতে এবং উরুতে ব্যথা যন্ত্রণা শুরু হয়। ঋতু চলাকালীন আলস্য ভাব, গা হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
9. ঋতু চলাকালীন তলপেটে, কোমরে, পিঠের শিরদাঁড়ায় অসহ্য ব্যথা হয়।
চিকিৎসা (Treatment):
ঋতু চলাকালীন অসহ্য ব্যথা যন্ত্রণা শুরু হলে ব্যথা যন্ত্রণানাশক ওষুধ(Analgesic) খাওয়াতে হবে। এরফলে রোগী ব্যথা যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কোন ভালো মহিলা বিশেষজ্ঞ (Gynaecologist) এর পরামর্শ নিতে হবে।
আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা ও পথ্য (Supporting measures & diets):
এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত রোগীদের আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা ও পথ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। অশিক্ষিত ও গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ ও শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। নিন্মলিখিত বিষয় গুলির ওপর নজর দিতে হবে -
1. ঠান্ডা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। গরম পানীয় খাওয়া এবং তলপেটে গরম সেঁক দেওয়া ভালো।
2. হালকা সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার।
3. হালকা ব্যায়াম ও মুক্ত বাতাসে ভ্রমণ এই রোগের পক্ষে উপকারী।
4. বিবাহিত মহিলাদের গর্ভধারণের উপদেশ দেওয়া ভালো কারণ একটি সন্তান প্রসবের পর এই রোগ সচরাচর থাকে না।