ডায়রিয়া(Diarrhoea) বা উদরাময় শিশুদের খুবই একটি common রোগ। শিশুদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটার জন্য বার বার তরল ভেদ হওয়াকে ডায়রিয়ার লক্ষণ বলে ধরা হয়। পরিপাক ক্রিয়ার গোলযোগই ডায়রিয়ার পূর্ববর্তী কারণ। শিশুদের ডায়রিয়া অনেকসময় শিশুর মায়ের অজ্ঞাতসারে এবং অজ্ঞতাবশতই হয়ে থাকে। এই জন্য শিশুর মায়ের ডায়রিয়া সম্বন্ধে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি।
শিশুদের ডায়রিয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন -
1. শিশু যে বয়সে যে খাদ্য হজম করতে পারে না তাকে সেই খাদ্য খাওয়ান। শিশুকে তাড়াতাড়ি বড় এবং বলিষ্ঠ(Strong) করার জন্য অতিরিক্ত আহার করানো।
2. শিশুর অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম লাগা।
3. ভয়, তিরস্কার, মানসিক উত্তেজনাবশত শিশুদের উপদাহ হেতু এই রোগ হতে পারে।
4. শিশুদের দাঁত ওঠার সময় উপদাহ হেতু এই রোগ হতে পারে।
5. শিশুর পাকস্থলীতে খাদ্য পানীয়ের সঙ্গে জীবাণুর (Bacteria) অনুপ্রবেশ ঘটলে ডায়রিয়া হতে পারে।
1. শিশুদের প্রথমে পাতলা এবং পরে জলের মত পাতলা পায়খানা (Loose stool) হয়।
2. পায়খানার বর্ণ নানা রকমের হতে পারে। কখনও বর্ণহীন শুধু জল, কখনও দুধের মত সাদা, সবুজ, ঈষৎ কালো, রক্তাক্ত ও হতে পারে।
3. পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, ক্ষুধাহীনতা বা অস্বাভাবিক ক্ষুধা থাকতে পারে। কৃমি রোগগ্রস্ত শিশুদের রাক্ষুসে ক্ষুধার লক্ষণ থাকে।
4. কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বর লক্ষণটি থাকতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে পেটের অসুখের সাথে পাকস্থলীর প্রদাহ(Gastritis) প্রকাশ পায়।
5. শিশু কিছু খেতে চায় না। খাবার পর বমি করে, বমির টক গন্ধ থাকে, আবার কখনও মলের সঙ্গে আম মিশ্রিত থাকে। এই জাতীয় ডাইরিয়াকে মিউকো এন্টারিটিস (Muco enteritis) বলে।
6. মল খুব বেশি তরল হয় না। কোন কোন সময় মলের সঙ্গে গুটলে বা সাদা সাদা শ্লেষ্মার মতো বের হয়। পেটে কামড়ানি ব্যথা এবং কুন্থন থাকে। তবে রোগ নির্ণয়ের সময় ডাইরিয়াকে যেন কলেরা বা আমাশয়ের সঙ্গে ভুল না করা হয়।
7. পায়খানার পরিমাণ খুব বেশি হলে মূত্রের পরিমাণ কমে যায় এবং পিপাসা বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে dehydration লক্ষণ দেখা দেয়। এই সঙ্গে জ্বর, ক্ষুধা হীনতা থাকে এবং রোগ ধীরে ধীরে ক্রনিক হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে।
1. ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই কোন ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শিশুর অবস্থা খুব খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
2. শিশুকে সহজপাচ্য অর্থাৎ যে খাবার গুলি শিশু সহজেই হজম করতে পারবে সেগুলি খেতে দিতে হবে।
3. শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য শিশুকে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে।
4. ডায়রিয়া গ্রস্থ শিশু সবসময় মায়ের কাছে থাকতে চায়। তাই মায়ের উচিত শিশুর ভালো যত্ন নেওয়া। শিশুকে হালকা গরম জলে স্নান করিয়ে দিতে হবে। শিশুর জামা প্যান্ট নিয়মিত পরিস্কার করে দিতে হবে।
শিশুর বারবার বমি হতে থাকলে গ্লুকোজের জল বরফে ঠান্ডা করে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। বড় শিশুদের গ্লুকোজ(Glucose), ডাব ও ছানার জল, কাঁচকলার ঝোল, বার্লি প্রভৃতি খেতে দিতে হবে। দিনে অন্তত পক্ষে একবার ঝোল ও সুসিদ্ধ ভাত খাওয়ালে ভালো হয়। ভালো বিস্কুট, পাকা মিষ্টি ফল অল্প অল্প করে শিশুকে খেতে দিতে হবে। গুরুপাক খাবার দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
শিশুদের ডায়রিয়া কেন হয়? (What are the causes of children diarrhoea?):
শিশুদের ডায়রিয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন -
1. শিশু যে বয়সে যে খাদ্য হজম করতে পারে না তাকে সেই খাদ্য খাওয়ান। শিশুকে তাড়াতাড়ি বড় এবং বলিষ্ঠ(Strong) করার জন্য অতিরিক্ত আহার করানো।
2. শিশুর অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম লাগা।
3. ভয়, তিরস্কার, মানসিক উত্তেজনাবশত শিশুদের উপদাহ হেতু এই রোগ হতে পারে।
4. শিশুদের দাঁত ওঠার সময় উপদাহ হেতু এই রোগ হতে পারে।
5. শিশুর পাকস্থলীতে খাদ্য পানীয়ের সঙ্গে জীবাণুর (Bacteria) অনুপ্রবেশ ঘটলে ডায়রিয়া হতে পারে।
ডায়রিয়ার লক্ষণ (Symptoms of Diarrhoea):
1. শিশুদের প্রথমে পাতলা এবং পরে জলের মত পাতলা পায়খানা (Loose stool) হয়।
2. পায়খানার বর্ণ নানা রকমের হতে পারে। কখনও বর্ণহীন শুধু জল, কখনও দুধের মত সাদা, সবুজ, ঈষৎ কালো, রক্তাক্ত ও হতে পারে।
3. পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, ক্ষুধাহীনতা বা অস্বাভাবিক ক্ষুধা থাকতে পারে। কৃমি রোগগ্রস্ত শিশুদের রাক্ষুসে ক্ষুধার লক্ষণ থাকে।
4. কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বর লক্ষণটি থাকতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে পেটের অসুখের সাথে পাকস্থলীর প্রদাহ(Gastritis) প্রকাশ পায়।
5. শিশু কিছু খেতে চায় না। খাবার পর বমি করে, বমির টক গন্ধ থাকে, আবার কখনও মলের সঙ্গে আম মিশ্রিত থাকে। এই জাতীয় ডাইরিয়াকে মিউকো এন্টারিটিস (Muco enteritis) বলে।
6. মল খুব বেশি তরল হয় না। কোন কোন সময় মলের সঙ্গে গুটলে বা সাদা সাদা শ্লেষ্মার মতো বের হয়। পেটে কামড়ানি ব্যথা এবং কুন্থন থাকে। তবে রোগ নির্ণয়ের সময় ডাইরিয়াকে যেন কলেরা বা আমাশয়ের সঙ্গে ভুল না করা হয়।
7. পায়খানার পরিমাণ খুব বেশি হলে মূত্রের পরিমাণ কমে যায় এবং পিপাসা বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে dehydration লক্ষণ দেখা দেয়। এই সঙ্গে জ্বর, ক্ষুধা হীনতা থাকে এবং রোগ ধীরে ধীরে ক্রনিক হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে।
চিকিৎসা (Treatment):
1. ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই কোন ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শিশুর অবস্থা খুব খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
2. শিশুকে সহজপাচ্য অর্থাৎ যে খাবার গুলি শিশু সহজেই হজম করতে পারবে সেগুলি খেতে দিতে হবে।
3. শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য শিশুকে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে।
4. ডায়রিয়া গ্রস্থ শিশু সবসময় মায়ের কাছে থাকতে চায়। তাই মায়ের উচিত শিশুর ভালো যত্ন নেওয়া। শিশুকে হালকা গরম জলে স্নান করিয়ে দিতে হবে। শিশুর জামা প্যান্ট নিয়মিত পরিস্কার করে দিতে হবে।
আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা ও পথ্য (Supporting measures & diet):
শিশুর বারবার বমি হতে থাকলে গ্লুকোজের জল বরফে ঠান্ডা করে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। বড় শিশুদের গ্লুকোজ(Glucose), ডাব ও ছানার জল, কাঁচকলার ঝোল, বার্লি প্রভৃতি খেতে দিতে হবে। দিনে অন্তত পক্ষে একবার ঝোল ও সুসিদ্ধ ভাত খাওয়ালে ভালো হয়। ভালো বিস্কুট, পাকা মিষ্টি ফল অল্প অল্প করে শিশুকে খেতে দিতে হবে। গুরুপাক খাবার দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।